বিশ্বজিৎ বিশ্বাস, নদীয়াঃ এবার করোনার থাবা নদীয়ার কল্যাণী জহরলাল নেহেরু মেডিকেল (জে.এন.এম) হাসপাতালে। প্রথম দিনে চিকিৎসক এবং নার্স সহ মোট করোনা আক্রান্ত ছিল ৩০ জন। এবার সেই সংখ্যাটা বেড়ে দাঁড়াল ৬৭ তে। স্বাস্থ্য পরিষেবা বিঘ্নিত হওয়ার আশঙ্কায় গোটা সরকারি হাসপাতাল জুড়ে। করোনা সংক্রমনের তৃতীয় ঢেউ ইতিমধ্যেই গোটা দেশজুড়ে ছড়িয়ে পড়েছে। প্রথম এবং দ্বিতীয় ঢেউকে পিছনে ফেলে দ্রুত গতিতে বেড়ে চলেছে আক্রান্তের সংখ্যা। ইতিমধ্যেই রাজ্য সরকারের তরফ থেকে আংশিক লকডাউনের কথা ঘোষণা করা হয়েছে। প্রতিটি সাধারণ মানুষকে অনুরোধ করা হয়েছে তারা যেন অপ্রয়োজনে বাড়ির বাইরে না বের হয়। রাস্তায় বেরোলে নির্দিষ্ট দূরত্ব মেনে চলা এবং মুখে মাস্ক পড়া আবশ্যক করেছে প্রশাসন। ইতিমধ্যে গোটা জেলা জুড়ে প্রশাসনের তরফ থেকে নিয়ম না মানলে ধরপাকড় করা হয়েছে।
এই পরিস্থিতিতে কল্যাণী জহরলাল নেহেরু মেডিক্যাল কলেজের বিভিন্ন ডাক্তার নার্স এবং পড়ুয়াদের ভিতরে শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে তাদের করোনা টেস্ট করানো হয়। আগের রিপোর্ট অনুযায়ী ওই হাসপাতালের মোট ৬ জন ডাক্তার ১৯ জন পড়ুয়া এবং ৫ জন নার্সের শরীরে করোনা পজেটিভ ধরা পড়েছিল। সেই সংখ্যাটা এবার বেড়ে দাঁড়াল ৬৭ তে। বেশিরভাগ আক্রান্ত স্বাস্থ্যকর্মীরা নিজেদের বাড়িতেই হোম কোয়ারেন্টাইনে চলে গেছে। অনেকেই সরকারি আবাসনে ভর্তি রয়েছে। অনেকেই আবার হাসপাতালে আলাদাভাবে করোনা চিকিৎসা ওয়ার্ডে ভর্তি রয়েছে।
রীতিমতো গোটা হাসপাতাল জুড়ে স্বাস্থ্যপরিসেবা ভেঙে পড়ার আশঙ্কায় রয়েছে। যদিও রাস্তায় বেরোলেই এখনও অনেককে করোনা সংক্রমণ নিয়ে অসচেতনতা লক্ষ্য করা যায়।