টুডে নিউজ সার্ভিস, বর্ধমানঃ মদ্যপ অবস্থায় দুরন্ত গতিতে ছুটিয়ে ছিলেন চারচাকা গাড়ির চালক রাজীব পাল। ওই গাড়ির পিছন ধাওয়া করে চালককে ধরে বর্ধমান থানার হাতে তুলে দিলেন ট্রাফিক ওসি চিন্ময় ব্যানার্জী। পাশাপাশি চারচাকা গাড়িটিকে সিজ করা হয়। পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, বর্ধমান শ্যামলাল থেকে সস্ত্রীক কলকাতা ডাক্তার দেখাতে যাচ্ছিলেন পেশায় শিক্ষক সমিত কুমার দাস ও তার শিক্ষিকা স্ত্রী মৌমিতা দাস। বর্ধমান কার্জন গেটের কাছে গড়িটির গতিবেগ দেখে সন্দেহ হয় ট্রাফিক ওসির। গাড়িটিকে ধরতে পিছু ধাওয়া করেন এবং বড়ো নীলপুর মোড়ে ট্রাফিক সিগন্যাল না থাকায় গড়িটিকে ধরেন। এরপর অ্যানালাইসিস মেশিন দিয়ে পরীক্ষা করা হলে দেখা যায় মদ্যপ অবস্থায় সে গাড়ি চালাচ্ছে। এরপর ওই গাড়ি চালককে গ্ৰেফতার করে বর্ধমান থানার হাতে তুলে দেওয়া হয়। পাশাপাশি গাড়িটিকে সিজ করা হয়েছে বলে জানান ট্রাফিক ওসি চিন্ময় ব্যানার্জী।
বর্ধমান শ্যামলালের বাসিন্দা পেশায় শিক্ষক সমিত কুমার দাস বলেন, কলকাতায় যাবার জন্য একটি গাড়ি ভাড়া করা হয়। চালকের গাড়ি চালানো দেখে সন্দেহ হয়।বিরহাটায় একটি বাইকের সাথে ধাক্কাও লাগে। এরপর ট্রাফিক এসির সন্দেহ হওয়ায় গাড়িটির পিছু ধাওয়া করে ধরেন তারপর পরীক্ষা করে দেখেন চালক মদ্যপ অবস্থায় আছেন। আজ ওনার জন্যই জীবন ফিরে পেলাম কারণ জাতীয় সড়কের ধরেই আমাকে কলকাতায় যেতে হতো তখন বড়সড় বিপদ হতে পারতো।
