টুডে নিউজ সার্ভিস, বর্ধমানঃ বর্তমান সময়ে স্বাস্থ্য ব্যবস্থা নিয়ে যখন তোলপাড় গোটা বাংলা। সরকারি হাসপাতালে বিনা চিকিৎসায়, ভুল চিকিৎসায় কিংবা ডাক্তারের গাফিলতির খবর প্রত্যেকদিনই কোথাও না কোথাও থেকে আসছে। দুদিন আগেই সরকারি হাসপাতাল থেকে এক রোগীকে মেয়াদ উত্তীর্ণ ডেট পেরিয়ে যাওয়ার ওষুধ দেয়া হয়েছিল অভিযোগ ওঠে। তোলপাড় হয়েছিল সমাজ মাধ্যম। এরপর ওই রোগী জেলাশাসকের কাছে অভিযোগ করেন।
আর ঠিক এই সময় দাঁড়িয়ে আবারও কর্তব্যে গাফিলতির অভিযোগ উঠল শুক্রবার এক সরকারি হাসপাতালের ডাক্তারের বিরুদ্ধে। ঘটনার সূত্রপাত গত বুধবার, জামালপুর থানার অন্তর্গত আজাপুর গ্রামের বাসিন্দা কৌশিক চ্যাটার্জী। তিনি জানান, রাতে হাতে ব্যথা নিয়ে মেমারি গ্রামীণ হাসপাতালের ইমার্জেন্সি বিভাগে চিকিৎসা করাতে আসে। সেই সময় কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে প্রেসক্রিপশন করে দেয় এবং এক্স-রে করতে হবে বলে।
ডাক্তারবাবুর কথামতো পরের দিন কৌশিক বাবু পুনরায় হাসপাতালে এক্স-রে বিভাগে গেলে ছবি করার জন্য এক্সরে ডিপার্টমেন্টে কর্তব্যরত ভদ্রলোক তার পায়ের দিকের এক্স-রে করতে যায়। সে সময় কৌশিক বাবু বাধা দেন।
তিনি জানান, আমার পায়ে নয় হাতে চোট লেগেছে। কিন্তু ওই ভদ্রলোক জানান, প্রেসক্রিপশনে পায়ের এক্স-রে করার কথা লেখা রয়েছে। এর পরেই কৌশিক বাবু পুনরায় ইমার্জেন্সি বিভাগে গিয়ে আরেকটি প্রেসক্রিপশন করে নিয়ে আসেন। কর্তব্যে উদাসীনতার অভিযোগ তুলে কৌশিক বাবু হাসপাতালের উচ্চ কর্তৃপক্ষকে অভিযোগ জানাবেন বলে জানিয়েছেন।
এ যেন সুকুমার রায়ের রম্য রচনা হ য ব র ল- এর “ছিল রুমাল,হয়ে গেল বেড়াল।” চিকিৎসা করাতে এসছেন হাতের আর ডাক্তার বাবু প্রেসক্রিপশন করছেন পায়ের।
সরকারি হাসপাতালে রোগী পরিষেবা নিয়ে জুনিয়র ডাক্তাররা লাগাতার আন্দোলন করছে। স্লোগানে স্লোগানে ভরিয়ে দিচ্ছে রাজপথ। কিন্তু যে সমস্ত ডাক্তারবাবুরা কর্তব্যে গাফিলতি করছেন, সাধারণ মানুষের জীবন নিয়ে খেলা করছেন, তাদের চিকিৎসা কে করবেন? উঠছে প্রশ্ন।
গোটা ঘটনা নিয়ে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে লিখিত অভিযোগ জানাতে গেলে জানা যায়, বিএমওএইচ ছুটিতে রয়েছেন। তাই হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের পক্ষ থেকে কোনো প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি।
Social