সমীর দাস, দক্ষিণ চব্বিশ পরগনাঃ কথায় আছে সব তীর্থ বার বার, গঙ্গাসাগর একবার। প্রতি বছরের ন্যায় এবছরেও সারা ভারত থেকে আগত গঙ্গাসাগর তীর্থযাত্রীরা পাড়ি দিচ্ছেন গঙ্গাসাগরের উদ্দেশ্যে। পূণ্য স্নানের দুদিন আগেই শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতিতে প্রস্তুত গঙ্গাসাগর মেলার কর্তৃপক্ষ ও জেলা প্রশাসন। গঙ্গা আরতির মধ্যে দিয়ে আজ তার আনুষ্ঠানিক সূচনা করলেন দক্ষিণ ২৪ পরগনার জেলাশাসক সুমিত গুপ্তা ও কপিলমুনি আশ্রমের প্রধান পুরোহিত মহন্ত জ্ঞান দাস। এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত জেলাশাসক, সুন্দরবন উন্নয়ন মন্ত্রী বঙ্কিম হাজরা, সোনারপুর দক্ষিণের বিধায়িকা লাভলি মৈত্র সহ আরও অনান্য প্রশাসনের আধিকারিক ও বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ।
এবারের গঙ্গাসাগর মেলায় ঐতিহ্যের ধারাকে অব্যাহত রেখে হরিদ্বার প্রয়াক ও বেনারসের আদলে ভারতীয় সংস্কৃতিকে সামনে রেখে শত শত শঙ্খের ধ্বনিতে শুরু হয় সাগর ভূমিতে সন্ধ্যা আরতি। কপিলমুনি মন্দিরের সামনে থেকে বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা সহকারে সমুদ্র তটে ৩ নম্বর রাস্তায় গিয়ে পৌঁছায় এবং লক্ষ্য লক্ষ্য পূর্ণ্যার্থীর সাক্ষী রেখে সমারোহে সম্পূর্ণ হয় গঙ্গা আরতি। আগামী দুদিন নির্দিষ্ট সময়ে হবে এই গঙ্গা আরতি বলে জানান জেলাশাসক।
এবারের বিশেষ আকর্ষণ বাংলার শক্তি পিঠের আদলে তৈরি মন্দির। যা দেখার জন্য দেশ ও বিদেশে থেকে আগত পূর্ণর্থীদের ভিড় চোখে পড়ার মতো। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের অনুপ্রেরণায় এই সুবিশাল সাগর মেলা আগামী দিনে আন্তর্জাতিক পরিণত হবে।