প্রবীর মণ্ডল, বর্ধমানঃ স্বনির্ভর গোষ্ঠীর মহিলাদের হাতে তৈরি ফুচকা খেয়ে তাদের উৎসাহ দিয়ে আর এগিয়ে যাওয়ার বার্তা দিলেন বিডিও সুবর্ণা মজুমদার। পঞ্চায়েত ভোটের আগে সাধারণ মানুষের কাছে সরকারি প্রকল্পের সুবিধা ও পরিষেবা পৌঁছে দিতে ১ এপ্রিল শনিবার থেকে শুরু হলো ষষ্ঠ পর্যায়ের দুয়ারে সরকার শিবির। সেই মতো এদিন বর্ধমান দু’নম্বর ব্লকের বৈকুন্ঠপুর এক গ্রাম পঞ্চায়েত অন্তর্গত জোতরাম বিদ্যাপীঠে শিবিরে সকাল থেকে উপভোক্তাদের ভিড় লক্ষণীয়।
এবারের দুয়ারে সরকার শিবির থেকে ২৭টি পুরনো প্রকল্পের পাশাপাশি ৪টি নতুন প্রকল্পে আবেদন করতে পারবেন সাধারণ মানুষ। এবারের দুয়ারে সরকার ক্যাম্প থেকে আবেদন করা যাবে বিধবা ভাতা, মেধাশ্রী, ভবিষ্যৎ ক্রেডিট কার্ডের মাধ্যমে ঋণপ্রদান এবং মাইক্রো ইরিগেশন স্কিমে। এছাড়াও কন্যাশ্রী, যুবশ্রী, লক্ষ্মীর ভাণ্ডার, স্টুডেন্ট ক্রেডিট কার্ডের মতো পুরনো ২৭টি প্রকল্পের সুবিধা পাওয়ার জন্যও আবেদন জানানো যাবে এবারের ক্যাম্পে। এই ষষ্ঠ দুয়ারে সরকার শিবিরে আবেদনকারীরা ১ থেকে ১০ এপ্রিল যে কোনো পরিষেবা পেতে আবেদন করতে পারবে। আর সেই পরিষেবা আবেদনকারী পাবেন ১১ থেকে ২০ এপ্রিলের মধ্যে। পাশাপাশি নতুন প্রকল্প সম্পর্কে সাধারণ মানুষকে অবগত করতে তথ্য দপ্তর থেকে শিবিরের বাইরে একটা ট্যাবলোও রাখা হয়।
এই শিবিরে নজর কাড়ে স্বনির্ভর গোষ্ঠীর মহিলাদের হাতের তৈরি বিভিন্ন সরঞ্জাম এমনকি কিভাবে তারা এই গোষ্ঠীর মাধ্যমে স্বাবলম্বী হচ্ছে তা তারা সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে শেয়ার করেন। এদিনের এই প্রথম শিবির পরিদর্শনে উপস্থিত ছিলেন স্থানীয় বিধায়ক সহ তথ্য সংস্কৃতি দপ্তরের আধিকারিক রামশঙ্কর মণ্ডল, সমষ্টি উন্নয়ন আধিকারিক সুবর্ণা মজুমদার, পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি অরুণ গোলদার, বৈকুন্ঠপুর এক গ্রাম পঞ্চায়েতের উপ-প্রধান জয়দেব ব্যানার্জি, প্রধান রাখি সাঁতরা, অঞ্চল সভাপতি শেখ অজাদ রহমান এছাড়াও অন্যান্য আধিকারিকগণ।এছাড়াও এই শিবিরে অন্যান্য প্রকল্পের পাশাপাশি আইসিডিএস ও মেডিকেল ক্যাম্পেরও ব্যবস্থা থাকে।
Social