অভিজিৎ হাজরা, আমতা, হাওড়াঃ গ্ৰীষ্ণ ঋতু চলছে। পানীয় জলের সমস্যা দেখা দিয়েছে এলাকায়। সামনেই ত্রিস্তরীয় পঞ্চায়েত নির্বাচন দুয়ারে কড়া নাড়ছে। রাজ্যের শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেস নেতারা এলাকায় এলাকায় প্রচারে যাচ্ছেন। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় গ্ৰাম বাংলার প্রতিটি বাড়িতে বাড়িতে বিনামূল্যে পানীয় জল দেওয়ার প্রকল্প চালু করেছে। গ্ৰাম বাংলার এমন অনেক এলাকা আছে যেখানে পানীয় জলের কল ও নেই। সেই এলাকার মানুষ অস্বাস্থ্যকর পরিবেশ থেকে জল নিয়ে, সেই জল পানীয় জল হিসাবে ব্যবহার করতে বাধ্য হচ্ছে। এমনি এক চিত্র দেখা গেল গ্ৰামীণ হাওড়া জেলার উলুবেড়িয়া উত্তর বিধান সভা তথা আমতা ১নং পঞ্চায়েতের অন্তর্গত আমতা কলেজ রোডে। দেখা গেল এখানে শৌচাগার থেকে জল সংগ্ৰহ করে সেই জল পানীয় হিসাবে ব্যবহার করতে বাধ্য হচ্ছে এলাকাবাসী।
আমতা কলেজ রোডে আমতা রামসদয় কলেজের কাছে একটি শৌচাগার রয়েছে। নিয়মানুযায়ী ঐ শৌচাগারের একদিকে পুরুষদের ও অন্যদিকে মহিলাদের টয়লেট ও শৌচাগার রয়েছে। পানীয় জলের সমস্যায় ঐ এলাকার পরিবার গুলির কয়েকশো মানুষ ঐ শৌচাগার থেকে জল সংগ্ৰহ করে তা পানীয় জল হিসাবে ব্যবহার করছে।
জানা যায়, ঐ এলাকায় কোন পানীয় জলের কল নেই। স্থানীয় মানুষ ছাড়া ও কয়েকশো দোকানদার ঐ শৌচাগারের ট্যাপ থেকে জল সংগ্ৰহ করে তা পানীয় জল হিসাবে ব্যবহার করছে। অবিলম্বে ঐ এলাকায় পানীয় জলের ট্যাপ বসানোর দাবি উঠেছে। ঐ এলাকার বাসিন্দারা ও দোকানদাররা অভিযোগের সুরে বলেন, ‘ঐ শৌচাগারের অদূরেই উলুবেড়িয়া উত্তর বিধান সভা কেন্দ্রের তৃণমূল কংগ্রেসের কার্যালয় রয়েছে। ঐ কার্যালয়ে তৃণমূল কংগ্রেসের উলুবেড়িয়া উত্তর বিধানসভা কেন্দ্রের বিধায়ক ডাঃ নির্মল মাজী সহ হাওড়া জেলার তৃণমূল কংগ্রেসের অন্যান্য নেতৃত্ববৃন্দ আসা যাওয়া করেন প্রতিদিনই। সবাই এই অমানবিক চিত্র দেখেন। এই অমানবিক চিত্র বদলানোর উদ্যোগ নেন না।’ এই পরিস্থিতিতে এলাকায় ক্ষোভ বাড়ছে।
আমতা এলাকার বিশিষ্টজনরা এই অমানবিক চিত্র দেখে বলেন, ‘এই চিত্র যেমন অমানবিক তেমনই আমতার ঐতিহ্যের পরিপন্থী।’ আমতা ১নং ব্লকের প্রাক্তন সমষ্টি উন্নয়ন আধিকারীক তথা প্রাক্তন ডেপুটি ম্যাজিস্ট্রেট ফটিক চক্রবর্তী বলেন, ‘এই ধরনের চিত্র আমতার জনজীবনের সঙ্গে মেলে না।’ দাবি উঠেছে ঐ এলাকায় পানীয় জলের সুষ্ঠ ব্যবস্থার।
এই বিষয়ে আমতা ১নং পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি ধনঞ্জয় বাকুলি বলেন, ‘বিষয়টি খতিয়ে দেখে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। সমস্যা সমাধানে পরিকল্পনা গ্ৰহণ করে কাজ করা হবে।’
Social