দেবজিৎ দত্ত, বাঁকুড়াঃ কফিন বন্দি হয়ে ঘরের ছেলে ফিরলো ঘরে! বালেশ্বরের কাছে ট্রেন দুর্ঘটনার দিন থেকে নিখোঁজ ছিলেন বাঁকুড়ার ইন্দাস ব্লকের কুশমুড়ি গ্রামের সিআরপিএফ জওয়ান নিখিল ধাড়া। দীর্ঘ খোঁজাখুঁজির পরেও মিলছিল না তাঁকে। অবশেষে সোমবার সিআরপিএফ-এর হস্তক্ষেপে তাঁর দেহ মেলে। মঙ্গলবার মৃত নিখিল ধাড়ার কফিনবন্দী দেহ জওয়ানদের কাঁধে চড়ে ফেরে ইন্দাসের কুশমুড়ি গ্রামে। চোখের জলে নিহত জওয়ানকে শেষ বিদায় জানায় এলাকার হাজার হাজার মানুষ।
সম্প্রতি রাজগীরে প্রশিক্ষণ নিতে যান ছত্তিশগড়ে সিআরপিএফ-এ কর্মরত বাঁকুড়ার ইন্দাস ব্লকের কুশমুড়ি গ্রামের নিখিল ধাড়া। প্রশিক্ষণ নিয়ে রাজগীর থেকে খড়্গপুরে এসে গত ২ জুন নিজের কর্মস্থলে যাওয়ার উদ্দেশ্যে করমন্ডল এক্সপ্রেসে চাপেন নিখিল। তারপরই ঘটে যায় ভয়াবহ দুর্ঘটনা। দুর্ঘটনার পর থেকে আর নিখিলের কোনো খোঁজ মিলছিল না। বহু চেষ্টা করেও তাঁর সাথে যোগাযোগ করে উঠতে পারেনি পরিবার। গ্রামের বাসিন্দারা নিখিলের খোঁজে বালেশ্বরে যান। সেখানে প্রশাসনের সহযোগিতায় নিখিলের সঙ্গে থাকা ব্যাগ ও তার ভিতরে থাকা পরিচয়পত্র মিললেও নিখিলের খোঁজ মিলছিল না। অবশেষে সিআরপিএফ-এর তরফেও শুরু হয় সন্ধান। শেষে ওড়িশার একটি হাসপাতালে নিখিলের মৃতদেহের খোঁজ মেলে। এরপরই তাঁর দেহ গ্রামের বাড়িতে ফিরিয়ে আনার উদ্যোগ নেয় সিআরপিএফ। মঙ্গলবার দুপুরে কুশমুড়ি গ্রামে নিহত জওয়ানের দেহ পৌঁছায়। কুশমুড়ি গ্রামের অদূরেই গান স্যালুট দিয়ে তাঁর শেষকৃত্য সম্পন্ন হবে বলে জানানো হয়।
Social