টুডে নিউজ সার্ভিস, বর্ধমানঃ পার্টি অফিস দখলকে কেন্দ্র করে আবারও প্রকাশ্য গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব পূর্ব বর্ধমানের রায়নায়। এই ঘটনায় ১০ জনকে গ্রেফতার করে শুক্রবার বর্ধমান জেলা আদালতে পাঠাল রায়না থানার পুলিশ। প্রকাশ্যে তৃণমূলের ব্লক সভাপতি ও বিধায়ক গোষ্ঠীর দ্বন্দ্ব। রায়না-১ ব্লকের সেহারা অঞ্চলের মোগলমারী গ্রামে আবারও প্রকট রূপ নিল তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব। মোগলমারি বাজারে অবস্থিত তৃণমূলের দলীয় কার্যালয় কার হাতে থাকবে সেই নিয়ে বৃহস্পতিবার রাতে ঝামেলায় জড়িয়ে পড়ে রায়না-১ ব্লক তৃণমূলের সভাপতি বামদেব মণ্ডল ও রায়না বিধানসভার বিধায়ক শম্পা ধাড়া-র গোষ্ঠীর লোকজন। জানা গেছে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় শম্পা ধাড়া-র গোষ্ঠীর লোকজন দলীয় কার্যালয়ে বসে নিজেদের মধ্যে খোঁজ মেজাজে গল্প করছিল। ঠিক সেই মুহুর্তে ব্লক সভাপতি বামদেব মণ্ডল-এর লোকজন মোগলমারী বাজারে দলীয় কার্যালয়টি দখল নিতে গেলে বাধা দেয় শম্পা ধাড়া গোষ্ঠীর লোকজন। তখনই শুরু হয়ে যায় ঝামেলা এবং তার পরই শুরু হয় দুটি গোষ্ঠীর মধ্যে হাতাহাতি।
খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছায় রায়না থানার অন্তর্গত সেহারাবাজার ফাঁড়ির পুলিশ এবং রায়না থানার ওসি সহ বিশাল পুলিশ বাহিনী। পরিস্থিতি স্বাভাবিক করতে কড়া পদক্ষেপ গ্রহণ করে পুলিশ, নামে র্যাফ সহ আধা সামরিক বাহিনী।বিভিন্নভাবে অভিযান চালিয়ে এলাকায় অশান্তি সৃষ্টি করার অপরাধে দুটি গোষ্ঠীর মোট ১০ জনকে গ্রেফতার করে পুলিশ।ধৃতদের বিরুদ্ধে নির্দিষ্ট ধারায় মামলা রুজু করে শুক্রবার বর্ধমান আদালতে পাঠায় পুলিশ। ধৃতদের মধ্যে বিধায়ক গোষ্ঠীর শেখ রহমত(৪২), সেখ ইনামুল (৪৮), সেখ সোমেদ আলি (৪৩), সেখ সারুপ উদ্দিন(২৬) ও সেখ নাসিম রাজ (২৪)। ধৃতদের মধ্যে ব্লক সভাপতি গোষ্ঠীর সেখ লিয়াকত আলী (২২), সেখ মাসুদ আলী(২৫), রহিম মন্ডল(৫১), সেখ মসরত আলী(৫৩) এবং শেখ নুরুল হোসেন(৩২)। উল্লেখ্যঃ ব্লক সভাপতি ও বিধায়কের গোষ্ঠীর দ্বন্দ্ব এই প্রথম নয় এটি দীর্ঘদিনের তবে ক্রমাগত দুটি গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব চূড়ান্ত আকার নিলেও উচ্চ নেতৃত্ব কোন ব্যবস্থা না নেওয়ায় দুশ্চিন্তায় এলাকার তৃণমূল নেতৃত্ব ও কর্মীরা সহ সাধারণ মানুষরা।
Social