শাসকদলের সালিশি সভায় না যাওয়ায় প্রৌঢ় দম্পতি ঘরছাড়া

Prabir Mondal
2 Min Read

টুডে নিউজ সার্ভিস, বর্ধমানঃ চোপড়ার মতো সালিশি সভার ঘটনা এবার পূর্ব বর্ধমানের জামালপুর থানা এলাকা কুবাজপুর গ্রামে। মারধরের পর মমতাকে চিঠি লিখলেন প্রৌঢ় দম্পতি। গত রবিবারই উত্তর দিনাজপুরের চোপড়ায় এক সালিশি সভায় ডেকে যুগলকে রাস্তায় ফেলে পেটানোর অভিযোগ প্রকাশ্যে আসে। আর তার এক সপ্তাহের মধ্যে প্রায় একই ধরনের অভিযোগ উঠল পূর্ব বর্ধমানের জামালপুরে। আবার আইন নিজের হাতে তুলে নিয়ে মারধর। আর এবারেও অভিযোগের তির তৃণমূলেরই এক নেতার বিরুদ্ধে। তবে এখানে মারধর সালিশি সভায় হয়নি। অভিযোগ, সালিশি সভা ডাকার পর সেখানে উপস্থিত না হওয়ার জন্য বাড়িতে গিয়ে এক প্রৌঢ় ম্পতিকে মারধর করেন এলাকার তৃণমূল নেতার শাগরেদরা। কুবজপুর গ্রামের বাসিন্দা ওই দম্পতি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে চিঠি লিখে তাঁদের উপর হওয়া অত্যাচারের কথা জানিয়েছেন। তাঁরা লিখেছেন, ‘‘এলাকার তৃণমূলের অঞ্চল সভাপতির ডাকা সালিশি সভায় না যাওয়ায় তাঁর শাগরেদরা বাড়িতে এসে মারধর করেছেন আমাদের। এমনকি, খুনের হুমকিও দিয়ে গিয়েছেন।’’ প্রাণের ভয়ে তাঁদের গবাদি পশু, ক্ষেত-খামার ফেলে পালিয়ে আসতে হয়েছে অন্যত্র। সে কথাও চিঠিতে লিখে মুখ্যমন্ত্রীর কাছে বিহিত চেয়েছেন প্রৌঢ় দম্পতি। একই চিঠি ‘লিখিত অভিযোগ’ হিসাবে তাঁরা পাঠিয়েছেন রাজ্য পুলিশের ডিজি, জেলার পুলিশ সুপার এবং জেলাশাসককে।
জামালপুর ব্লকের চকদিঘি পঞ্চায়েত এলাকার প্রত্যন্ত গ্রাম কুবাজপুর। ওই গ্রামের বাসিন্দা প্রৌঢ় দম্পতি শেখ বোরহান আলি এবং সাহানারা বিবি। তাঁদের সঙ্গেই থাকেন তাঁদের বড় ছেলে বসির আলিও। মূলতঃ কৃষিকাজ করেই জীবিকা নির্বাহ করে পরিবারটি। অভিযোগ, বসিরের বিবাহ সংক্রান্ত জটিলতা নিয়ে একটি বিচারাধীন মামলার বিচার করতে সালিশি সভা ডেকেছিলেন এলাকার তৃণমূলের অঞ্চল সভাপতি শেখ আজাদ রহমান। চকদিঘির তৃণমূল পার্টি অফিসে ডাকা ওই সালিশি সভায় উপস্থিত থাকতে বলা হয় ওই দম্পতি ও তাঁদের পুত্র বসিরকে। দম্পতি তাঁদের অভিযোগে লিখেছেন, ‘‘ রহমানের শাগরেদরা এ-ও জানিয়ে যায় যে, আমরা যদি আজাদ রহমানের বিচার সভায় হাজির না হই, তবে ওরা আমাদের বাড়িঘর ভাঙচুর করে, বাড়ি জ্বালিয়ে দেবে। এমনকি, আমাদের প্রাণে মেরে দেওয়া হবে বলেও হুমকি দেয় ওরা।’

Share This Article
Leave a Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *