টুডে নিউজ সার্ভিসঃ শনিবার সকালে দিল্লির উদ্দেশ্যে রওনা দিতে কলকাতা বিমান বন্দরে পৌঁছালেন বিজেপি সাংসদ দিলীপ ঘোষ। এদিন তিনি জ্যোতিপ্রিয় মল্লিককে মন্ত্রিত্ব পদ থেকে অপসারণ প্রসঙ্গে বলেন, মমতা ব্যানার্জি ২,৩ জন ছাড়া কাউকে বিশ্বাস করতে পারেন না। উনি ভাবছেন যদি বেল পেয়ে যান জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক এসে আবার মন্ত্রী হবেন। আবার কাকে করবেন সে কি করবে সে থাকবে না চলে যাবে এই চিন্তা দুশ্চিন্তায় তিনি কাউকে দায়িত্ব দেন না। কেষ্ট জেলে থাকলো পদে থাকেন, জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক জেলা থাকলে মন্ত্রী থাকেন এটা তৃণমূল ও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাজ করার ধরন।
জাতীয় এসসি কমিশনের রাষ্ট্রপতি শাসন চাওয়ার প্রেক্ষিতে বলেন, আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি যেখানে পৌঁছেছে এবং টিএমসির লোকজন যেভাবে অত্যাচার করছে এর থেকে বাঁচার কোন রাস্তা নেই। যে সরকার মানুষকে সুশাসন দেবে তারা যদি লুটপাট খুনখারাপি করে তাহলে তা মানুষের যাওয়ার রাস্তা থাকেনা। প্রত্যেক এখান থেকে মুক্তির রাস্তা খুঁজছেন। কেউ রাজ্যপালের কাছে যাচ্ছে, কেউ রাষ্ট্রপতির কাছে যাচ্ছে, কেউ কোর্টে যাচ্ছেন, দেখা যাক কোন রাস্তাটা ঠিক থাকে।
পূর্ব বর্ধমানের জামালপুরে একাধিক মানুষের আধারকার্ড বাতিল প্রসঙ্গে বলেন, অনেক জায়গায় চিঠি এসেছে, আমরা জানি পশ্চিমবঙ্গে বহু ধরনের কার্ড আছে যেটা ভুয়ো। রেশন কার্ড, আধার কার্ড, জব কার্ড লক্ষ লক্ষ একটা দুটো নয়, ৬২ লক্ষ রেশন কার্ড বাতিল হয়েছে, সাড়ে ১৪ লক্ষ জব কার্ড আছে যেটা ভুয়ো, আধার কার্ড ভুয়ো। যাদের কাছে নথি নেই তাদের চিঠি দেওয়া হয়েছে বাতিলও করছে। এ ব্যাপারে অথরিটি সঙ্গে যোগাযোগ করুন যারা সমস্যায় পড়ছেন।
আধার কার্ড বাতিল বিজেপির চক্রান্ত বলে শাসক দলের দাবি প্রেক্ষিতে বলেন, শাসক দল যদি বাংলাদেশ থেকে লোক নিয়ে এসে, অনুপ্রবেশকারীদের নিয়ে এসে জোর করে আধার কার্ড বানিয়ে দেয় নথি ছাড়া ভোটার লিস্টে নাম তুলে দেয় তারা তো ভোটার হতে পারে না। সরকারের দায়িত্ব আছে বিদেশি নাগরিকদের আলাদা করা এবং দেশে ফেরত পাঠানো।
সন্দেশখালি ঘটনা নিয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রীর সঙ্গে কোন কথা হবে সে প্রসঙ্গে বলেন, এ বিষয়ে পার্টির যারা অথরিটি আছে তারা কথা বলছে যদি তিনি ডাকেন শোনেন তাহলে আমিও থাকব, ন্যাশনাল কাউন্সিলের মিটিং এর জন্য যাচ্ছি।
নদীয়া তেহট্টে তৃণমূল কর্মী গুলিবিদ্ধ হওয়ার ঘটনা প্রসঙ্গে বলেন, গুলিগোলা চলা, গুলি লাগা, মারা যাওয়া এটা নতুন কিছু নয় পশ্চিমবঙ্গে। রোজ কোথাও না কোথাও গুলি চলছে, হতাহত হচ্ছে পুলিশ প্রশাসন দুষ্কৃতিকারীদের চেনা সত্ত্বেও ধরে না, আটকাও না, কেন না তারা তৃণমূলের সঙ্গে যুক্ত।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর কাছে তারা কোন চিঠি দেবেন কিনা সে প্রসঙ্গে বলেন, জানি না সেটা ওখানে গেলে কথা হবে। তবে এখানকার যারা পার্টি নেতৃত্ব রয়েছেন প্রতিনিয়ত রিপোর্ট পাঠানো হয় এবং ওখান থেকে রিপোর্ট চাওয়াও হয়। আপনারা জানেন সাংসদের দল পাঠিয়েছিলেন নাড্ডাজি তারা ঘুরে গিয়েছেন পরিস্থিতি দেখেছেন লোকের সঙ্গে কথা বলেছেন তারা রিপোর্ট পাঠাচ্ছেন, বিভিন্ন এ সি ও এস টি সমাজের তরফ থেকে চিঠি লিখছেন রাষ্ট্রপতি থেকে শুরু করে প্রধানমন্ত্রীকে। লুকানোর কিছু নেই, আপনারাও দেখাচ্ছেন, সরকার বা অন্যান্য এজেন্সি কি করেন সেটা দেখার।
শিবু হাজরার গ্রেফতারি না হওয়া প্রসঙ্গে বলেন, শিবু হাজরা বলুন বা শেখ শাহজাহান প্রকাশ্যে ঘুরে বেড়াচ্ছে, সবাই জানে কে কোথায় রয়েছে, মিডিয়াকে ইন্টারভিউ দিচ্ছেন কিন্তু পুলিশ খুঁজে পাচ্ছেন না। কারণ পুলিশ ওদেরকে বাঁচিয়ে রেখেছে, পুলিশই ওদের তৈরি করেছে। টিএমসির বড় বড় তোপ। পার্টির জন্য চাঁদা তুলে দেন, ভোট করিয়ে দেন, তাদের গায়ে কেউ হাত দেবে না।
লালগোলায় সরস্বতী পূজার বিসর্জনে বোমাবাজির ঘটনা প্রসঙ্গে বলেন, পশ্চিমবঙ্গে এই ধরনের সাম্প্রদায়িক উত্তেজনা বাড়ছে। বিশেষ করে হিন্দু সমাজের কোন বড় তিথি পড়ব মেলা হলে সেখানে নিরাপত্তার প্রশ্ন আসে, ভয় ভয় করেন, কেন এটা কি পাকিস্তান বাংলাদেশ হয়ে যাচ্ছে ধীরে ধীরে। মুখ্যমন্ত্রী ঈদে দুদিন ছুটি দেবেন, রামনবমী বা রাম মন্দির জন্য ছুটি দেবেন না। সেদিনে তার বিরুদ্ধে মিছিল করবেন, এটা কাকে উৎসাহ দিতে চাইছেন, তো এই ঘটনা তো হবেই।
Social