টুডে নিউজ সার্ভিসঃ জেলায় জেলায় তৃণমূলের সাংগঠনিক পরিবর্তন হলো সোমবার। একাধিক সংগঠনিক জেলায় দলের জেলা সভাপতি পদে বদল আনা হয়েছে। বীরভূমের ক্ষেত্রেও সরানো হল অনুব্রত মণ্ডল ওরফে কেষ্টকে । তবে জেলা সভাপতি পদে ওই জেলায় অন্য কাউকে দায়িত্ব দেওয়া হয়নি। সভাপতি পদের জায়গায় লেখা রয়েছে ‘কোর কমিটি টু কমিটি’। প্রসঙ্গত, ২০২২ সালের ১২ অগাস্ট গ্রেফতার করা হয় অনুব্রত মণ্ডলকে। গরু পাচার মামলায় অভিযুক্ত এই নেতা বর্তমানে বন্দি রয়েছেন দিল্লির তিহাড় জেলে। গরু পাচার মামলায় অনুব্রত মন্ডলের সঙ্গে নাম জড়িয়েছে তাঁর মেয়ে সুকন্যা মণ্ডলেরও। সুকন্যাও বর্তমানে বাবার সঙ্গেই তিহাড় জেলে রয়েছেন। বীরভূম জেলায় দলের চেয়ারম্যান করা হয়েছে রাজ্যের মন্ত্রী আশীস বন্দ্যোপাধ্যায়কে। আগামী বছরে রয়েছে লোকসভার ভোট। তার আগে তৃণমূল কংগ্রেসের জেলা কমিটির রদ-বদলে কেষ্টর নাম না থাকা রাজনৈতিকভাবে বেশ তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করছেন অনেকে। একটি অংশ মনে করছে গরু পাচার মামলার কেষ্ট লম্বা কারাবাস হতে চলেছে এটা ধরে নিয়েই তাঁকে সরানো হল। অন্যদিকে, আরেকটি অংশের মতে, কেষ্টর হাত থেকে ক্ষমতার ভরকেন্দ্র সরে যাওয়ার ইঙ্গিত গত পঞ্চায়েত ভোটেই দেখা গিয়েছে। যখন তাঁর বিরোধী নেতা কাজল শেখ-কে দায়িত্ব আনা হয়। তাই বীরভূম জেলা সভাপতি পদ থেকে কেষ্টর সরে যাওয়াতে অনেকে কাজল শেখেরও হাত দেখছেন। অন্যান্য বেশ কিছু জেলাতেও রদবদল সামনে এসেছে। যেমন বহরমপুর সাংগঠনিক জেলা সভাপতি পদে সরানো হয়েছে আবু তাহের খানকে। তাঁর জায়গায় দায়িত্ব পেয়েছেন অপূর্ব সরকার। বাঁকুড়া সংগঠনেও বড়সড় রদ বদল এনেছে তৃণমূল। সভাপতি পদ থেকে সরানো হয়েছে দিব্যেন্দু সিংহ মহাপাত্রকে, তাঁর বদলে এসেছেন অরূপ চক্রবর্তী। বিষ্ণুপুর সংগঠনিক জেলা সভাপতি পদে আনা হয়েছে বিক্রমজিৎ চট্টোপাধ্যায়কে। দার্জিলিং (পাহাড়) সাংগঠনিক জেলায় শান্তার ছেত্রীকে সভাপতি করেছে তৃণমূল। বসিরহাট সাংগঠনিক জেলায় চেয়ারপার্সন থেকে হাজি নুরুল ইসলামকে সভাপতি করা হয়েছে। সভাপতি থাকা সরোজ বন্দ্যোপাধ্যায়কে চেয়ারপার্সন করা হয়েছে।
