পাপু লোহার, কাঁকসাঃ প্রায় এক দশক আগে ফিরে যেতে হবে। আর চোখের সামনে ভেসে উঠবে সেদিনের সিপিএমের দাপট কত ছিল। আর সেই সময় অসংগঠিত শ্রমিকদের নিয়ে একটি মিটিং-এর আয়োজন করেছিল তৃণমুল নেতাকর্মীরা। সালটা ছিল ২০১০, সেদিন পুলিশের সামনেই সিপিএমের নেতা কর্মীরা বেধড়ক মারধর করে তৃণমূল নেতাদের। আহত হয় বেশ কয়েজন নেতা। এমনটাই অভিযোগ ছিল সেদিন তৃণমূলের। সেদিন বাংলায় প্রথম পঞ্চায়েত পরিচালিত বাঁশকোপা শিল্পতালুকে সিপিএমের নির্দেশ ছাড়া গাছের পাতাও নড়তে চাইতো না এমনটাই প্রচলিত রয়েছে এখনও। দেশের কেন্দ্রীয় সরকারের নানান জনবিরোধী নীতির প্রতিবাদে বাম সংগঠনগুলি ধর্মঘট ডেকেছে। বাঁশকোপা শিল্পতালুকে সিটুর সেই দাপট আজও আছে কিনা দেখতেই চক্কর দেওয়া হল বাঁশকোপা শিল্পতালুক জুড়ে। কিন্তু কোনো ধর্মঘটের চিহ্ন নেই আর সিটুর নেতাদের ও কোনো দেখা নেই ধর্মঘট সফল করতে। এক্কেবারে অন্যান্য সাধারন দিনের মতোই ধর্মঘটের প্রথম দিন। শ্রমিকেরা কাজে যোগ দিয়েছেন। হিন্দিভাষী ভিন রাজ্যের শ্রমিকদের ডাম্পিং গ্রাউন্ড এখন এই শিল্পতালুক। এক ঝলকে বোঝাই যায় না এটা বাংলার কোন গ্রাম। কোথাও কোন ধর্মঘটের চিহ্ন নেই। এই শিল্পতালুকের সবচেয়ে ৩০ এর বেশি কারখানা রয়েছে।
কারখানার এক শ্রমিক সুপারভাইজার মানস দত্ত বলেন, তাদের কারখানায় ১০০ শতাংশ শ্রমিক কাজে যোগ দিয়েছে। তার কথায় ধর্মঘট করে সমস্যার সমাধান হবে না। নীতির পরিবর্তন করতে হলে কেন্দ্র থেকে বিজেপি সরকারকে হোটাতে হবে তবেই নীতির পরিবর্তন হবে।
নবকুমার হাটি বলেন “ধর্মঘট করে কোনো সমস্যার সমাধান হবে না, সব কিছুই চলছে, কারখানা চালু , বাজার চালু রয়েছে।” শিল্পতালুকে দোকান দিয়ে সংসার চালান হিরামনি স্যান্যাল তিনি সাফ জানান “দোকান না খুললে খাবো কি? করোনার জেরে দোকান বন্ধ ছিল। জমি নাই চাষবাস নেই খাবো কি দোকান বন্ধ রেখে! কারখানা সব চালু আছে কোথাও কোনো বন্ধ নেই। আর ধর্মঘট করে কোনো সমস্যার তো সমাধান হয়নি তাই ধর্মঘট করে কোনো লাভ নেই।”
এদিন সিটু নেতাদের কোথাও দেখা গেল না। পরিচিত এক সিটু নেতা কাজে যোগ দিয়েছেন। চায়ের দোকানে চা পানে ব্যস্ত। কাছে যেতেই তিনি বলেন প্লিজ ভিডিও করবেন না, এই শিল্পতালুকে নো ওয়ার্ক নো পে তাই কামাই করলে একদিনের বেতন কাটা যাবে তাই কাজে যোগ দিয়েছি ।
Social