টুডে নিউজ সার্ভিস, বর্ধমানঃ সোমবার দুপুরে বর্ধমান শহরে আক্রান্ত হলেন বিজেপির বর্ধমান দক্ষিণ কেন্দ্রের কনভেনার কল্লোল নন্দন। এই ঘটনায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়ালো বর্ধমান শহর জুড়ে। এদিন কল্লোল নন্দনের পারিবারিক সূত্রে জানানো হয়েছে, সোমবার দুপুর প্রায় সাড়ে বারোটা নাগাদ কল্লোল নন্দন যখন মোটরবাইকে করে বর্ধমানের গুডস শেড রোড ধরে যাচ্ছিলেন সেই সময় একদল তৃণমূল সমর্থক তাঁর পথ আটকায়। অভিযোগ, এরপর তাঁকে তার গাড়ি থেকে নামিয়ে কাছেই গুডস শেড রোডের উপর একটি নির্মীয়মাণ ফ্ল্যাটের নীচে টেনে হিঁচড়ে নিয়ে যাওয়া হয়।
অভিযোগ তাঁর কাছ থেকে পাঁচ লক্ষ টাকা দাবি করে দুষ্কৃতীরা। অভিযোগ, সেই সময় দুষ্কৃতীরা বিজেপি নেতাকে বলে, তুই বড় নেতা হয়ে গেছিস। সেখানে তাঁকে রড, লাঠি, বাঁশ দিয়ে বেধড়ক মারধরও করা হয়। অভিযোগ, কল্লোল নন্দনের কাছে থাকা মোবাইল ফোনও কেড়ে নেওয়া হয়। মারের চোটে বেশ কিছুক্ষণ পড়ে থাকার পর তিনি কোনোরকমে নিজের বাড়ি ফেরেন। এরপরই তাঁকে ভর্তি করা হয় বর্ধমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে।
জানা গেছে, কল্লোল নন্দনের হাত, পা এবং পিঠে গুরুতর আঘাত রয়েছে। ইতিমধ্যেই বর্ধমান থানায় স্থানীয় কয়েকজনের বিরুদ্ধে এই ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে লিখিত অভিযোগ জমা পড়েছে। গোটা ঘটনার তদন্তে নেমেছে বর্ধমান থানার পুলিশ। বিজেপি নেতাকে মারধর করার ঘটনায় শহর জুড়ে চাঞ্চল্য দেখা দিয়েছে। এদিকে পূর্ব বর্ধমান তৃণমূল কংগ্রেসের মুখপাত্র প্রসেনজিৎ দাস জানিয়েছেন, এই ঘটনার সঙ্গে কারা জড়িত সে ব্যাপারে পুলিশ তদন্ত করে দেখবে। তবে এই ঘটনার সঙ্গে তৃণমূলের কেউ যুক্ত নেই বলেই তিনি জানিয়েছেন। কারণ তিনি জানিয়েছেন, মুখ্যমন্ত্রী দলের সমস্ত কর্মীদের উদ্দেশ্যে নির্দেশ দিয়েছেন কোনো হিংসা বরদাস্ত করা হবে না। সুতরাং, এই ঘটনার পিছনে বিজেপির গোষ্ঠীকোন্দল দায়ি কিনা তাও খতিয়ে দেখা উচিত।
Social