আশীষ কুমার ঘোষ, হুগলীঃ তালপাতায় মুখ্যমন্ত্রীর ছবি এঁকে ইন্ডিয়ান বুক অব রেকর্ডসে নাম তুলল তারকেশ্বরের মলয়, গতবছর আইসক্রিমের কাঠির ওপর তিন-তিনটি মনীষীর ছবি এঁকে ইন্টারন্যাশনাল বুক অব রেকর্ডসের অধিকারী হয়েছেন তারকেশ্বরের প্রতিভাবান চিত্রশিল্পী মলয় ঘোষ, এবার মাত্র ২৫ মিনিটে তাল পাতার উপর মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জির ক্ষুদ্রতম ছবি এঁকে ইন্ডিয়ান বুক অব রেকর্ডসে নাম তুললেন তিনি। তারকেশ্বর পৌরসভার ১৩ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা মলয় বাবু পেশায় অঙ্কন শিক্ষক ছোট থেকেই দারিদ্রতার সাথে লড়াই করে পড়াশোনার সঙ্গে সঙ্গে আঁকা শেখা চালিয়ে গেছেন। একাধিক জায়গায় প্রদর্শনী করেছেন পেয়েছেন পুরস্কার ও সম্মান, তবে এবারের লড়াই টা সহজ ছিল না বলে তিনি জানান ৬.০২ /২.০৭ সেন্টিমিটার মাপ এর একটি তালপাতায় মাত্র ২৫ মিনিটে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জির রঙিন ছবি আঁকেন তিনি, নিয়ম অনুযায়ী ছবি আঁকার পর্বটি প্রথম থেকে শেষ পর্যন্ত ভিডিও করে পাঠাতে হয় সংস্থায়। এক মাসে দুবার সংস্থা দপ্তরে ছবি পাঠিয়ে বিফল হয়েছেন তিনি, তৃতীয় চেষ্টার পর অবশেষে এলো এই সাফল্য, তবে এরই সঙ্গে আক্ষেপে বলেন এখনও পর্যন্ত সরকারি প্রকল্পের বাড়ি পাননি তিনি, শিল্পী ভাতার তালিকায় নাম নেই তার, বহুবার চেষ্টা করেও বিফল হয়েছেন তিনি এবং আগামী দিনে যদি একটি সরকারি আবাসন প্রকল্পের বাড়ি পান তাহলে সেখানে একটি স্কুল করবেন। দুঃস্থ ছাত্র-ছাত্রীদের বিনামূল্যে ছবি আঁকাবানে, হাসিমুখে বলেন এবার আমি যার ছবি এঁকেছি তিনি হচ্ছেন আমাদের মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি, যিনি রাজ্যের বহু মানুষের উপকার করে চলেছেন আশা করি আগামী দিনে আমারও একটি সুরাহা হবে।
তাঁর এই সাফল্যকে কুর্নিশ জানাতে শনিবার বিকেলে তার বাড়িতে হাজির হলেন তারকেশ্বর টাউন তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি উত্তম ভান্ডারী,টাউন যুব তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি অনুপ পন্ডিত, বর্তমান পৌর প্রশাসক স্বপন সামন্ত, প্রাক্তন কাউন্সিলর মহঃ নঈম, পুতুল ভট্টাচার্য্য সহ অন্যান্য কর্মীবৃন্দ এবং এলাকার মানুষ, সকলে মিলে শিল্পী মলয় ঘোষ কে পুষ্পস্তবক দিয়ে সম্মান জানালেন, পৌর প্রশাসক স্বপন সামন্ত বলেন মলয় ঘোষ শুধু আমাদের এলাকার নয় সারা বাংলার নাম উচুঁ করেছে ভারতবর্ষে, তার এই কাজে আমরা সকলেই কমবেশি গর্বিত। আগামী দিনে তাকে একটি আবাসন প্রকল্পের বাড়ি এবং শিল্পী ভাতার ব্যবস্থা করার যথাসাধ্য চেষ্টা করব বলে তিনি জানান। এ কথায় খুব খুশি হয়ে মলয় বাবু জানান যে, আগামী দিনে এই দুটি কাজ হয়ে গেলে আমি আমার তৈরি শিল্পকলা কে সংগ্রহ করে রাখতে পারব এবং পাশাপাশি সেখানে ছাত্র-ছাত্রীদের জন্য স্কুল গড়তে পারবো এবং শিল্পী ভাতা পেলে দারিদ্রতা কিছুটা হলেও লাঘব হবে বলে তিনি জানান। তবে মলয় ঘোষের এই সাফল্যকে কুর্নিশ জানিয়েছে তারকেশ্বরের সমস্ত মানুষ।
Social