বিশ্বজিৎ বিশ্বাস, নদীয়াঃ কৃষ্ণনগরে নিজেকে এক সমাজসেবী পরিচয় দিয়ে বিভিন্ন রকমের কাজকর্ম করতেন এক ভদ্রমহিলা। যদিও এলাকায় তিনি বিজেপি কর্মী বলেই পরিচিত। ওই অভিযুক্ত ভদ্র মহিলার নাম বাবলি মুখার্জি । তিনি স্বামী-স্ত্রীর ঝগড়া থেকে শুরু করে ডিভোর্সের মামলা পর্যন্ত ঘটনা শুনে বিচার প্রক্রিয়া নিজেই করতেন এবং সমস্ত ঘটনা তিনি তার ফেসবুক পেজে লাইভ করে দেখাতেন। এইভাবে তিনি সমাজের সমস্ত মানুষের কাছে পরিচিত হয়ে ওঠেন। এই পরিচিত হওয়ার পাশাপাশি যে সমস্ত মানুষের সমস্যার সমাধান করতেন তাদের কাছ থেকে টাকা নেওয়ার গুঞ্জনও শোনা যাচ্ছে। এমনই ঘটনায় একটি সংখ্যালঘু ছেলের সাথে হিন্দু মেয়ের প্রেমের ঘটনায় বিচার প্রক্রিয়া চালানোর সময় মেয়েটির চুল এবং ছেলেটির চুল কেটে নেয় ওই সমাজসেবী, কৃষ্ণনগর বাসট্যান্ড এলাকার জনসাধারণের প্রকাশ্যে। এই ঘটনার নিন্দার ঝড় ওঠে তার বিরুদ্ধে। এই ঘটনায় কোঁতোয়ালি থানার পুলিশ তাকে গ্রেফতার করে এবং তার বিরুদ্ধে বিভিন্ন ধারায় মামলা রুজু করা হয়।
যদিও এ বিষয়ে বাবলি মুখার্জি জানান, প্রেমের সম্পর্ক কে শ্রদ্ধা জানাই কিন্তু মোবাইলে অশ্লীল ভিডিও তুলে ওই ছেলেটি এবং তার বন্ধুবান্ধব ব্ল্যাকমেল করছিলো, তাদের উচিত শিক্ষা দিতে উভয়ই চুল কেটে দিতে বাধ্য করেছি, যাতে কিশোর-কিশোরীদের মধ্যে অবৈধ সম্পর্কর প্রবণতা কমে। এক্ষেত্রে হিন্দু-মুসলিম বিষয় উত্থাপিত করা উচিত নয়।