আবাস যোজনায় ঘুষ চাওয়ার অভিযোগ সরকারি কর্মচারীর বিরুদ্ধে

Burdwan Today
2 Min Read

 

বিশ্বজিৎ বিশ্বাস, নদীয়াঃ নদীয়ার কৃষ্ণনগরের ঝিটকীপোতা এলাকার বাংলা আবাস যোজনার ঘরের টাকা ঢুকলেও সেই টাকা আত্মসাৎ করার অভিযোগ উঠলো বিডিও অফিসের এক সরকারি কর্মচারীর বিরুদ্ধে। অভিযোগকারীদের বক্তব্য বাংলা আবাস যোজনা ঘরের টাকা নেওয়ার আগে তাকে কুড়ি হাজার টাকা ঘুষ দিতে হবে। তা না হলে সে টাকা দেবে না এবং একের পর এক হুমকির মুখে পড়তে হয় বাংলা আবাস যোজনার উপভোক্তাদের। তাদের অভিযোগ দীর্ঘদিন ধরেই বিভিন্ন সরকারি আধিকারিকদের কাছে লিখিত আকারে আবেদন জানালেও কোনো সুরাহা মিলেনি। এখানেই প্রশ্ন উঠছে তাহলে কি সরকারি আধিকারিকরা জরিত রয়েছেন ? তাই নাহলে কেন আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করছেন না। উপরন্ত উপভোক্তাদের পড়তে হয়েছে হুমকির মুখে। বিনয় বর্মন নামে সরকারি আধিকারিকের কাছে এমনটাই অভিযোগ প্রতিটা পরিবারের এবং তার পরও কোনো সুরাহা মিলেনি। মূলত তাদের ঘর এসেছিলো ২০১৯-২০ সালে। তারপর থেকে তিন বছর কেটে গেলেও এখন পর্যন্ত মেলেনি ঘর। এই দিন অভিযোগকারীরা জানান বেশ কিছু বাড়ি সেখানেই দেখা যায় কারোর টালির ঘরের ছাঁদ ভাঙা দেয়াল খসে পড়া এবং এদের বেশিরভাগই মাটির তৈরি বাড়ি ঘরে। 

যদিও এই বিষয়ে ঝিটকীপোতা এলাকার মেম্বার আলী শেখ তিনি দায়িত্ব পাওয়ার বহু আগের ঘটনা । তাই এই বিষয়ে সংবাদমাধ্যমের সামনে মুখ খুলতে চাননি। তবে এই বিষয়টি নিয়ে বিজেপির নেতৃত্ব কটাক্ষ করতে ছাড়লেন না তাঁর বক্তব্য রাজ্য সরকার প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনার ঘর বাংলা আবাস যোজনা বলে চালাচ্ছে এবং সেখানে বিশাল পরিমাণে তৃণমূলের একাংশ কাটমানি খাচ্ছে । তাই তাদের দেখাদেখি সরকারি কর্মচারীরা এবার খেতে শুরু করেছে। এটা নতুন কিছু নয় কারণ তৃণমূলের দেখাদেখি তারা শুরু করেছে। এটাও ভাববার বিষয় যে সরকার কতটা উন্নয়ন ঘটাচ্ছে বলে জানান বিজেপি নেতৃত্ব। যদিও বিডিও অফিসের পক্ষ থেকে সংবাদমাধ্যমের সামনে কোন রকম মুখ খুলতে না চাইলেও তিনি জানান বিষয়টি তদন্ত সাপেক্ষ। যদিও এই বিষয়টিকে গুরুত্ব দিতে নারাজ তৃণমূল নেতৃত্ব সংবাদমাধ্যমের সামনে মুখ খুলতে না চাইলেও জানান বিষয়টি তদন্ত সাপেক্ষ তাই আইনত ব্যবস্থা নেয়ার কথা, সেগুলি নেওয়া হবে বলে জানান তৃণমূলের নদীয়া জেলার উত্তরের সভাপতি জয়ন্ত সাহা। তবে প্রশ্নচিহ্ন থেকেই যাচ্ছে বারে বারে একের পর এক সাধারণ গরিব মানুষের ঘরের টাকা যেভাবে তছরুপ করা হচ্ছে তাতে সাধারণ মানুষ কতটা উপকৃত হবে এ প্রশ্ন থেকেই যাচ্ছে ।

Share This Article
Leave a Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *