প্রবীর মণ্ডল, বর্ধমানঃ করোনা অতিমারীর প্রভাব কাটিয়ে দীর্ঘ দু’বছর পর স্কুল বসে অফলাইনে এ বছর মাধ্যমিক পরীক্ষা। ফের অফলাইনে পরীক্ষা দিতে পারায় খুশি পরীক্ষার্থী থেকে তাদের অভিভাবক-অভিভাবিকারা। সোমবার ৭ মার্চ থেকে শুরু পরীক্ষা এবং শেষ হবে ১৬ মার্চ। এবার মাধ্যমিক পরীক্ষার্থীর সংখ্যা প্রায় ১১ লক্ষেরও বেশি। যা গত বারের তুলনায় অনেকটাই বেশি। সমস্ত রকম কোভিড বিধি মেনে পরীক্ষা কেন্দ্রে প্রবেশ করানো হয় পরীক্ষার্থীদের, এমনি চিত্র দেখা যায় বর্ধমান-২ ব্লকের জোতরাম বিদ্যাপীঠে। এদিনের এই পরীক্ষাকেন্দ্রে ৫টি স্কুলের পরীক্ষার্থীরা পরীক্ষা দিতে আসেন। এবার মধ্যশিক্ষা পর্ষদের গাইডলাইন অনুযায়ী মাধ্যমিক পরীক্ষাকেন্দ্রে থাকছে আইসোলেশন রুম। যদি কোনো পরীক্ষার্থী অসুস্থ হয়ে পড়েন বা অসুস্থ অবস্থায় পরীক্ষাকেন্দ্রে আসেন তাহলে সেই পরীক্ষার্থীকে আইসোলেশন রুমে বসে পরীক্ষা দিতে হবে।
এদিন জোতরাম বিদ্যাপীঠে পরীক্ষা দিতে আসে শক্তিগড় গার্লস হাই স্কুলের এক অসুস্থ পরীক্ষার্থী রিয়া খাতুন। তাকে অ্যাম্বুলেন্সে করে এই পরীক্ষাকেন্দ্রে আনা হয় এবং তাঁকে পরীক্ষাকেন্দ্রে একটা আলাদা রুমে পরীক্ষার ব্যবস্থা করা হয়।
পাশাপাশি এদিন পরীক্ষার্থীদের মনোবল বাড়াতে পরীক্ষাকেন্দ্রে প্রবেশের পথে পরীক্ষার্থীদের কপালে চন্দনের ফোঁটা, পেন, জলের বোতল ও মাস্ক তুলে দিতে দেখা গেল বৈকুন্ঠপুর-১ অঞ্চল তৃণমূল যুব কংগ্রেসের কর্মীদের। পাশাপাশি পরীক্ষার্থী ও অভিভাবকদের জন্য খোলা হয় সহায়তা কেন্দ্র। তাঁদের এমন উদ্যোগে খুশি সকলে।
এদিন উপস্থিত ছিলেন বর্ধমান-২ তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি সৌভিক পান, অঞ্চল সভাপতি শেখ আজাদ রহমান, বৈকুন্ঠপুর-১ অঞ্চল তৃণমূল যুব সভাপতি জয়দেব ব্যানার্জি, বৈকুন্ঠপুর-১ গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান রাখি সাঁতরা, প্রণয় রায়, পরিতোষ সমাদ্দার সহ আরও অনেকে।