টুডে নিউজ সার্ভিসঃ কবি কালিদাস লিখেছিলেন – ‘আশ্বাস পিশাচো হপি ভোজনেন।’ অর্থাৎ ভোজন করিয়ে পিশাচকেও তৃপ্ত করা যায়। সত্যিই মানুষ তো কোন ছার। গুপি গাইনও বলেছে, পেটে খেলে পিঠে সয়, এতো কভু মিছে নয়। বাঙালির খাদ্য প্রীতি নিয়েও আছে কত কথা। যা প্রায় কথকতার সামিল। কিন্তু হাল আমলে বাঙালির রসিয়ে রসনা তৃপ্তির সময় কোথায়? তাছাড়া বিশ্ব নাগরিক হওয়ার সুবাদে বাঙালির এখন খাদ্য সন্ধানে সাউথ ইন্ডিয়া থেকে মোঘল, চিন থেকে ইতালি, জাপান থেকে লেবানিজ সর্বত্র বিচরণ।তবে পুজোর দিনকটি কিম্বা বাংলা নববর্ষের প্রাক্কালে বাঙালি একটু বাঙালি আবেগে ভেসে বেড়ায়। সেইকথা রাজ্য তথা কলকাতার বিভিন্ন হোটেল কর্তৃপক্ষ জানেন। তাই এই বাঙালির পরবের দিনে নানাবিধ বাঙালি খাদ্যের এক সম্ভার নিয়ে হাজির হন সবাই।সাধ থাকলেও সাধ্যে কুলোয় না অনেকেরই পাঁচ তারা বা সাত তারা হোটেলে বাঙালি খানা খেতে। কিন্তু তাল পাতার পাখা, গরদের লাল শাড়ি, লাল শালু আর মাটির ঘট, ডাবের অঙ্গসজ্জা দিয়ে সাজানো বিলাসবহুল হোটেলে যদি মাত্র ৭৯৯ টাকায় বাঙালি মধ্যাহ্নভোজন আর নৈশভোজনের সুযোগ মেলে তবে মন্দ কি? উত্তর কলকাতার উল্টোডাঙার হাডকো মোড়ে হোটেল গ্যালাক্সি সিক্সটি সেভেন আমন্ত্রণ জানাচ্ছে এই মাসের আগামী ১৫-১৭ এপ্রিল বাংলা খাবারের ব্যাফেতে।নামকরণ করা হয়েছে বৈশাখি ভুরিভোজ। ৪৫ টি পদে আছে নানান লোভনীয় খাদ্যের সম্ভার। স্বাগতম পানীয়তে থাকবে গন্ধরাজ ঘোল। শুরুয়াতে থাকছে কাসুন্দি সহ ফিশ ফ্রাই। থাকছে চিকেনের ড্রামস অফ হেভেন। আম কাসুন্দি দিয়ে মোচার চপ। থাকছে কেশর পনির টিক্কা।স্বাস্থ্য সচেতন বাঙালির জন্য থাকছে দেশি মুরগির সুরুয়া, ভেজ কর্ন স্যুপ। এছাড়া স্যালাড পেয়ারা কাচুম্বার, ফালধারী চাট, দইবড়া, পুদিনা পেয়াঁজ । সঙ্গীতের মুখরার মত থাকবে কচুবাটা, আলু চোখা, বড়ি সহ লাল শাক, পাঁপড় ভাজা, টমেটো পোড়া। ভাজার তালিকাতেও আছে পাঁচ পদ।থাকছে ঠাকুরবাড়ির শুক্তুনি, কাজু কিসমিস পোলাও, মুগমোহিনী, কড়াইশুঁটি আলুরদম, লুচি, বাটার নান, তন্দুরি রুটি, ছানার কালিয়া, সর্ষে পটল, কলকাতা মাটন বিরিয়ানি, দই কাতলা, ঢাকাই ভুনা মুরগি। বঙ্গ ললনার প্রিয় পাঁচপদের চাটনি আচার। মধুরেণ সমাপয়েৎ তালিকায় কলকাতার রসগোল্লা, ছানার মালপোয়া, গোবিন্দভোগ পায়েস। ভুরিভোজের শেষে পেটে আকর্ষণীয় আইসক্রিমের প্রলেপ। হাতে মিষ্টি পান। তালিকায় চোখ বুলিয়ে ক্ষিদে যদি চাগার দেয়, আপনার গন্তব্য হবে গ্যালারি সিক্সটিসেভেন।
সাংবাদিক বৈঠকে হোটেলের তরফে জেনারেল ম্যানেজার শুভাশিস দাস এবং ম্যানেজিং ডিরেক্টর গৌতম পাল জানালেন, করোনা পরিস্থিতি কাটিয়ে জীবন আবার ছন্দে আসছে। তাই আমরাও বাঙালিয়ানার উৎসবে সামিল হয়েছি। অনুষ্ঠানে হাজির ছিলেন বেশকিছু টলিউডের অভিনেতা ও অভিনেত্রী সহ বিশিষ্ট ব্যক্তিত্বরা। প্রয়োজনে এই হোটেলের লাক্সারি রুমেও দুটো রাত কাটাতে পারেন আপনার প্রিয় সঙ্গীকে নিয়ে। কলকাতার বিভিন্ন প্রান্তে এঁদের গেস্ট হাউসও আছে। পুরীতে আছে বিলাসবহুল হোটেল সমুদ্র। সুতরাং কলকাতার বাঙালির নববর্ষের ডেস্টিনেশন এবার হোটেল গ্যালাক্সি সিক্সটি সেভেন। আর দেরি না করে এখনই বুকিং করে ফেলুন।
Social