বৃদ্ধ-বৃদ্ধাদের নিয়ে মানবিক ভাবনায় পিকনিক

Burdwan Today
2 Min Read

 

         অপূর্ব দাসঃ শীতকাল হচ্ছে পিকনিকের মরশুম। এই সময়ে চারদিকে অনেক পিকনিক হয়। বর্ধমান শহরের সদরঘাট দামোদর নদীর ধারে অনেকে পিকনিক করে। সব পিকনিক একই রকম ভাবে হয় না। যেমন, অন্য ভাবনায়  দুঃস্থ পরিবারের ১৭০ জন বৃদ্ধ-বৃদ্ধাদের নিয়ে পিকনিক করে একটা দিন আনন্দ মুখর করে তোলেন একটি সমাজ সেবী সংস্থার সদস্য, সদস্যারা।

            শাঁখারি পুকুর এলাকার বাসিন্দা একজন বৃদ্ধার কাছে গিয়ে মনীষা মণ্ডল বললো, “দিদান, তোমার আসতে দেরি হলো কেন? তোমার জন্য তো টোটো পাঠান হয়েছে।”

           গোলাহাটের বাসিন্দা একজন বৃদ্ধকে যখন দ্যুতি কোনার জিজ্ঞেস করলো, “ও দাদু তুমি একা এলে কেন? ঠাকুমারও তো আসার কথা ছিল।” তখন বৃদ্ধ হো হো করে হাসলেন।  তারপরে সামনের দিকে দেখিয়ে বললেন, “ওইতো চাদর জরিয়ে আমার বউটা বসে আছে।”

সমস্ত খবর পেতে আমাদের WhatsApp গ্রুপে জয়েন্ট করুন : https://chat.whatsapp.com/J2ZCZS26NOzBfHUobcE0YN

          বয়স্ক মানুষদের সঙ্গে এরকম আন্তরিক কথা বলে তাদের আপন করে নেবার চেষ্টা করেছে সমাজ সেবী সংস্থার সদস্যা মনিরা চৌধুরী, অনিন্দিতা চ্যাটার্জী, গার্গী গাঙ্গুলী, মনিষা মন্ডল, চৈতালি ঘোষ এবং অন্যরা। 

       বর্ধমান সদর পেয়ারা নিউট্রিশন ওয়েলফেয়ার সোসাইটির পরিচালনায় ২৮ ডিসেম্বর দামোদর নদীর ধারে আর্থিক ভাবে দুর্বল পরিবারে বয়স্ক মানুষদের নিয়ে পিকনিক হয়। 

বর্ধমান শহরের চারটি জায়গা থেকে বৃদ্ধ বৃদ্ধাদের টোটো এবং বাসে করে পিকনিকে আনা হয়। 

            পিকনিক বা চড়ুইভাতির আয়োজনে খাওয়া দাওয়াতো ছিলোই। আর ছিল মিউজিক্যাল চেয়ার ও হাড়ি ভাঙ্গা প্রতিযোগিতা। 

পিকনিকের শেষ পর্বে সবাইকে কম্বল দেওয়া হয়। আয়োজক সংস্থার সম্পাদক প্রলয় মজুমদার বলেন, এভাবেই বৃদ্ধ-বৃদ্ধা ও শিশুদের সঙ্গে নিয়ে ওনারা কাজ করতে চান। 

           

Share This Article
Leave a Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *