Breaking News

মায়ের কোলে ফিরল প্রসূতি বিভাগ থেকে চুরি যাওয়া শিশু, গ্রেফতার মা ও মেয়ে

 

টুডে নিউজ সার্ভিসঃ চুরি যাওয়ার ৭২ ঘন্টার মধ্যেই উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালের প্রসূতি বিভাগের সদ্যজাত সহ মূল অভিযুক্তকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, উত্তর দিনাজপুর জেলার চোপড়া থানার বলরামপুর গ্রাম থেকে ওই শিশুকে উদ্ধার করার পাশাপাশি ওই মহিলাকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। শনিবার রাতেই শিশু ও অভিযুক্তকে উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে নিয়ে আসা ছিল।  অভিযুক্তদের নাম সিতা দাস ,অঞ্জু দাস। এরা দুজনই সম্পর্কে মা  ও মেয়ে। রবিবার এই বিষয়ে মাটিগাড়া থানায় সাংবাদিক সম্মেলন করে এ কথা জানায় শিলিগুড়ি মেট্রোপলিটন পুলিশের এডিশনাল ডেপুটি কমিশনার অফ পলিশ সুভেন্দ্র কুমার। অভিযুক্ত দু’জনকে রবিবার শিলিগুড়ি মহাকুমা আদালতে পাঠানো হয়। 

উল্লেখ্য, গত বৃহস্পতিবার অর্থাৎ ২০ এপ্রিল দুপুরে উত্তরবঙ্গ মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের প্রসূতি বিভাগ থেকে সদ্যোজাত শিশু চুরির ঘটনা ঘটে। ঘটনার পর পরিবারের পক্ষ থেকে মাটিগাড়া থানায় লিখিতভাবে অভিযোগ করা হয়। শিশুটিকে পুনরুদ্ধার করার জন্য এসওজি,ডিডি, মাটিগাড়া থানা এবং এনবিএমসি মিলিতভাবে একটি টিম তৈরি করে। এরপর চোপড়ার বলরামপুর থেকে শিশুটিকে উদ্ধার করা হয়। গ্রেফতার হয় দুই মহিলা, একজনের নাম সীতা দাস(৪৫)এবং অপরজনের নাম অঞ্জু দাস(২৪)। দু’জনকেই সাতদিনের পুলিশি রিমান্ডে নেওয়া হয়েছে। এই ঘটনায় আরও কেউ জড়িত রয়েছে কিনা তার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। এলাকায় এমন ঘটনা ঘটায় বলরামপুর গ্রামের মানুষ আতঙ্কিত।

অঞ্জু দাস-এর দাদিমা জানিয়েছেন, প্রায় দুই বছর ধরে অঞ্জু বন্ধ হয়ে আছে আমাদের বাড়িতে। শশুর বাড়ির লোকজন নিয়ে যাচ্ছে না তাকে। অঞ্জুর বিয়ে হয়েছে প্রায় দশ থেকে বারো বছর হল। অঞ্জুর স্বামী দিল্লিতে কাজ করে বলে তিনি জানিয়েছেন। অঞ্জু দীর্ঘদিন ধরে মা হতে না পারায় তাকে বাবার বাড়িতে থাকতে হয়। প্রায় দুই বছর থেকে বাবার বাড়িতেই রয়েছে। অঞ্জুর দাদিমা জানিয়েছেন শিলিগুড়িতে অঞ্জুর একটি সন্তান জন্ম হয়েছিল। তবে মৃত সন্তান জন্ম হয়েছিল তার। কার সন্তান নিয়ে বাড়ি ফিরেছিলে অঞ্জু, এটা আমি জানি না।

About Burdwan Today

Check Also

কার্তিক লড়াইকে ঘিরে জমজমাট কাটোয়া

রাহুল রায়, কাটোয়াঃ পূর্ব বর্ধমান জেলার কাটোয়া শহরের সকলের কাছে সব থেকে বড় পুজো হল …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *