বায়োডাইভারসিটি এক্সেলেন্স অ্যাওয়ার্ড পেলেন কাঞ্চননগর ডি.এন. দাস উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক

Burdwan Today
2 Min Read

 

টুডে নিউজ সার্ভিস, বর্ধমানঃ বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়ে ২২ থেকে ২৪ জুন আয়োজিত হচ্ছে পরিবেশ ও বাস্তুতন্ত্রের ওপর আন্তর্জাতিক সম্মেলন। সম্মেলনের প্রথম দিন বিশ্ববিদ্যালয়ের অডিটোরিয়ামে ইন্টারন্যাশনাল ফাউন্ডেশন ফর এনভায়ার্নমেন্ট অ্যান্ড ইকোলজি নামের সংস্থা জীববৈচিত্র্যের ওপর বিগত দশকগুলিতে অসামান্য কাজের স্বীকৃতি স্বরূপ বায়োডায়ভারসিটি এক্সেলেন্স অ্যাওয়ার্ড তুলে দিলেন কাঞ্চননগর ডি.এন. দাস উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ডঃ সুভাষচন্দ্র দত্তের করকমলে।

জুলজিক্যাল সোসাইটি, রেডক্রস, ফটোমর্ফোলজি সোসাইটি, লায়ন্স ক্লাব ইত্যাদির সদস্য, এনভায়ার্নমেন্টাল সায়েন্স পত্রিকা, অ্যাডভান্সেজ ইন ক্লিনিকাল টক্সিকোলজি পত্রিকা, ইনসাইটস অফ ক্লিনিকাল অ্যান্ড মেডিকেল ইমেজেস ইত্যাদির সম্পাদক, অ্যালবার্ট নেলসন মারকুইস লাইফটাইম অ্যাচিভমেন্ট, জাতীয় শিক্ষক, শিক্ষারত্ন, আন্তর্জাতিক বিজ্ঞানে শ্রেষ্ঠ গবেষণা পুরস্কার, আর্টিকল অফ মেরিট ইত্যাদি বহু দেশিবিদেশি সম্মানে সম্মানিত ডঃ দত্তের মুকুটে যুক্ত হল আরও একটি পালক।

সংস্থা তাদের ঘোষণাপত্রে জানিয়েছে, ডঃ সুভাষচন্দ্র দত্ত একজন উদ্ভাবনী ক্ষমতাসম্পন্ন প্রতিভাবান গবেষক। তাঁর চিন্তা বিশ্বের নীতিপ্রণেতাদের পথ দেখিয়েছে। জীববৈচিত্র্যের ক্ষেত্রে তাঁর উৎকৃষ্ট কর্মপদ্ধতি পরিবেশ তথা বাস্তুতন্ত্র সংরক্ষণে নিশ্চিতভাবে সহায়ক, যা পরিণামে মানবসভ্যতার পক্ষে শুভদায়ক।

সম্মেলনে প্রকাশিত গুরুত্বপূর্ণ দেড়শোর বেশি প্রবন্ধের মধ্যে ডঃ দত্ত-এর তিনটি রয়েছে। প্রথমটির বিষয় “পরিবেশ ও বাস্তুতন্ত্র বাঁচিয়ে রেখে সবুজ প্রযুক্তি কিভাবে কাঞ্চননগরের আর্থসামাজিক অবস্থা উন্নত করতে পারে, খাদ্যনিরাপত্তা সুনিশ্চিত করতে পারে”, “দ্বিতীয়টিতে আছে, এক্স-প্যাথোজেনের বিরুদ্ধে ইমিউনিটি বর্ধিত করে বিদ্যালয়ের উদ্ভিদসম্পদের পরিকল্পিত ব্যবহার কিভাবে পিএম পোষণ ব্যবস্থাকে সমর্থন করতে পারে, যা পড়ুয়াদের পাঠগ্রহণকে আরও আনন্দপূর্ণ আর সফল করে তোলে”, “তৃতীয়টিতে আছে, ভেতর থেকে শরীর ও মনকে রোগহীন ও উজ্জীবিত করতে পার্শ্বপ্রতিক্রিয়াবিহীন জৈবচিকিৎসার লক্ষ্যে উন্নত কৃষিপ্রযুক্তি।

ডঃ দত্ত-এর সুবিস্তৃত গবেষণা যে সমস্ত বিষয়কে অন্তর্ভুক্ত করেছে তা হল, পরিবেশবান্ধব উদ্ভিদ তথা প্রাণীসম্পদ, উদ্ভিদের রোগনিরাময় ক্ষমতা, ননমেডিকেটেড ব্যক্তি ও এনজিওদের এবিষয়ে অবহিত ও উদ্বুদ্ধ করা, পাখিদের জন্য কৃত্রিম বাসা, কৃষিজমির নতুন ব্যবহার, প্রকৃত শিক্ষার মাধ্যমে মানবের মধ্যে সক্রিয় পরিবেশসচেতনতার উন্মেষ।।

Share This Article
Leave a Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *