বিশ্বজিৎ বিশ্বাস, নদীয়াঃ নির্বাচনী প্রচার চলাকালীন নির্দল প্রার্থীর বাড়ি ভাঙচুর ও পরিবারের লোকজনকে মারধর করার অভিযোগ উঠল তৃণমূলের বিরুদ্ধে। ঘটনাটি ঘটেছে নদীয়ার হবিবপুর পঞ্চায়েতের এলাকায়। এই প্রসঙ্গে নির্দল প্রার্থী গোপাল ঘোষের বাবা সুশান্ত ঘোষ বলেন, আমার ছেলে গোপাল ঘোষ এই পঞ্চায়েতের দীর্ঘ কুড়ি বছরের তৃণমূল সমর্থিত মেম্বার। কিন্তু আসন্ন পঞ্চায়েত ভোটে দলের থেকে টিকিট না দেওয়ার কারণে সেই নির্দল প্রার্থী হয়ে নির্বাচনী লড়াইয়ের সিদ্ধান্ত নেয়। নির্দল প্রার্থী হিসেবে ভোটের লড়াইয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়ার কারণেই মূলত এদিন নির্বাচনী প্রচার চলাকালীন গোপাল ঘোষ ছাড়াও কয়েকজনকে হুমকি দেওয়ার পাশাপাশি বেধড়ক মারধর করে তৃণমূল নেতাকর্মীরা। এমনকি আমাকেও তাঁরা মেরেছে। তিনি আরও বলেন, তৃণমূলের প্রথম লগ্ন থেকে আমরা দল করি। আমি নিজে তৃণমূল পরিচালিত হবিবপুর পঞ্চায়েতের কুড়ি বছরের সভাপতি পদে নিযুক্ত ছিলাম। কিন্তু, আমাকেও ওরা মারধর করতে ছারেনি। পাশাপাশি এরা প্রত্যেকেই নতুন তৃণমূলী বলেও অভিযোগ করেন সুশান্ত ঘোষ। এমনকি এই এলাকায় কোনো অশান্তি আগে ঘটেনি বলেও দাবি করেন তিনি। এই ঘটনার পর থেকে বাড়িছাড়া গোটা পরিবার। বর্তমানে আতঙ্কের মধ্যে দিয়েই দিন কাটছে নির্দল প্রার্থীর পরিবারের।
পরিবারের গৃহবধূদের দাবি প্রশাসনকে বিষয়টি জানালে প্রশাসন নিরাপত্তার কোনো ব্যবস্থা গ্রহণ করেনি। বরং প্রশাসনের তরফ থেকে পরিবারকে হুমকি দেওয়ার অভিযোগও করছেন পরিবারের সদস্যরা। সংবাদমাধ্যমকে কিছু জানালে সেক্ষেত্রেও হুমকির মুখে পড়তে হচ্ছে। তৃণমূল দুষ্কৃতী বাহিনীর হামলার দিন থেকে পরিবার কোনো খোঁজ খবর পায়নি নির্দল প্রার্থী গোপাল ঘোষের। পরিবারের অভিযোগ তৃণমূল নির্দল প্রার্থী গোপাল ঘোষ-কে তুলে নিয়ে গেছে। বর্তমানে গোপাল ঘোষের পরিবার বাড়ি ছাড়া।
এই ঘটনায় রানাঘাট থানার প্রশাসনের বিরুদ্ধে অসহযোগিতার অভিযোগ করছেন নির্দল প্রার্থীর পরিবার। শান্তিপূর্ণ নির্বাচন ও পুলিশ প্রশাসনের সহযোগিতার দাবি করছেন তাঁর পরিবার।
Social