জ্যোতির্ময় মন্ডল, পূর্ব বর্ধমানঃ কুসুমগ্রাম বাজারে একতা মঞ্চে মন্তেশ্বর ব্লকের কুসুমগ্রামে ২৯তম চিলড্রেন একাডেমির নাচ, গান , আবৃত্তি, মুখাঅভিনয়,, ও ভারতবর্ষের সৈনিকদের, দেশ রক্ষার দায়িত্ব কর্তব্যকে অভিনয়ের মাধ্যমে তুলে ধরাসহ অনুষ্ঠানের তাৎপর্য তুলে ধরার মধ্য দিয়ে বিভিন্ন সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের মাধ্যমে বিদ্যালয়ের ২৯তম বছরের বাৎসরিক সংস্কৃতি অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়। এই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন, মুর্শিদাবাদ জেলার বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ তথা কাশিমনগর উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোহাম্মদ জুলফিকার আলী , মুর্শিদাবাদ জেলার শিশু চিন্তক শিক্ষাবিদ গুলজার হোসেন , হাজিকুল ইসলাম , বীরভূম জেলার বাসিন্দা তথা ভারতীয় নেভি বিভাগের প্রাক্তন সৈনিক ডক্টর মোহাম্মদ আলী ও একাডেমির সমস্ত শিক্ষক শিক্ষিকা , ছাত্র-ছাত্রী ,অভিভাবক অভিভাবিকারা ও পরিচলন সমিতির কর্মকর্তারা সহ এলাকার বিশিষ্ট ব্যক্তিরা।

একাডেমির অধ্যক্ষ আমিনা বেগম জানান একটি গাছ একটি প্রাণ তাই গাছকে বাঁচিয়ে পরিবেশ রক্ষার জন্য চারা গাছে জল দিয়ে ও সম্মানীয় অতিথিবর্গের মাধ্যমে প্রদীপ জ্বালিয়ে এই অনুষ্ঠান সূচনা করে, ছাত্রীদের উদ্দেশ্যে বলেন সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান শিক্ষার একটি অঙ্গ, তাই ছাত্র-ছাত্রীরা যেভাবে মোবাইলে আসক্ত হচ্ছে, তাই তাদের মোবাইল বিমুখ করতে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের তাৎপর্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ বলে জানান অধ্যক্ষ আমিনা বেগম।
এই অনুষ্ঠানে সম্মানীয় অতিথিরা বক্তব্য রাখতে গিয়ে একাডেমির এবং অনুষ্ঠান সম্পর্কে তাৎপর্য তুলে ধরে ছাত্র-ছাত্রীদের উদ্দেশ্যে বলেন এই একাডেমিথেকে বহু ছাত্র-ছাত্রী , ডাক্তার ইঞ্জিনিয়ার হয়ে সমাজ ও বিদ্যালয়ের মুখ উজ্জ্বল করে, প্রতিষ্ঠিত হয়ে আমেরিকা, কানাডা, সহ বিভিন্ন দেশে কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে প্রতিষ্ঠিত।
তাই তারা বর্তমান ছাত্র-ছাত্রীদের বার্তা দিয়ে বলেন, ভবিষ্যতে এই বিদ্যালয়ের ধারাবাহিকতা বজায় রেখে, ছাত্র-ছাত্রীরা প্রতিষ্ঠিত হয়ে সমাজ ও বিদ্যালয়ের মুখ উজ্জ্বল করার কথা জানান একাডেমির অধ্যক্ষ আমিনা বেগম ও একাডেমির সম্পাদিকা তথা শিক্ষিকা সুমি খাতুন। একাডেমির সমস্ত শ্রেণীর প্রথম ,দ্বিতীয়, তৃতীয় স্থান অধিকার মেধা ছাত্র-ছাত্রীদের সংবর্ধনা ও পুরস্কৃত করার মধ্য দিয়ে এবং জাতীয় সংগীতের মাধ্যমে এই অনুষ্ঠানটি শেষ হয় রাত ৯ টায় ।