টুডে নিউজ সার্ভিস, বীরভূমঃ স্বামীর অনুপস্থিতে এক গৃহবধূকে দিনের পর দিন ধর্ষণের অভিযোগ উঠল বিজেপি নেতার বিরুদ্ধে। অভিযোগ, দু’বছর ধরে পরিবারের সদস্যদের মেরে ফেলার হুমকি দিয়ে গৃহবধূকে ধর্ষণ করে আসছেন ওই বিজেপি নেতা। ঘটনাটি বীরভূমের। ইতিমধ্যেই গৃহবধূ বিজেপি নেতার বিরুদ্ধে খয়রাশোল থানায় ধর্ষণের অভিযোগ দায়ের করেছেন। তারপর থেকেই পলাতক রয়েছেন বিজেপি নেতা। মহিলার ডাক্তারি পরীক্ষা করিয়েছে পুলিস। ইতিমধ্যেই আদালতেও গোপন জবানবন্দি দিয়েছেন মহিলা। ঘটনার বিষয়টি জানাজানি হতেই শোরগোল পড়ে গিয়েছে এলাকায়। শুরু হয়েছে রাজনৈতিক তরজা।
মহিলার অভিযোগ অনুযায়ী, তিনি স্বামী এবং দুই সন্তানের সঙ্গে থাকেন। স্বামী পেশায় একজন কৃষক। চাষের জন্য তাঁকে মাঠে যেতে হয়। তখন বাড়ি ফাঁকা থাকার সুযোগে ওই বিজেপি নেতা তাঁকে ধর্ষণ করে আসছিলেন বলে অভিযোগ। মহিলার দাবি, তিনি মুখ খুললেই স্বামী এবং দুই সন্তানকে প্রাণে মারার হুমকি দিয়েছিলেন বিজেপির অভিযুক্ত মণ্ডল কমিটির সভাপতি। ফলে সেই সময় ভয়ে তিনি কাউকে কিছু বলতে পারেননি।
তবে একমাস আগে তিনি বিষয়টি স্বামীকে জানান। এরপর গ্রামে একটি সালিশি সভার আয়োজন করা হয়। অভিযোগ, তারপরেও বিজেপি নেতা গত শনিবার ফের তাঁকে বাড়িতে ঢুকে ধর্ষণ করেন। সেই সময় মহিলার স্বামী মাঠে ছিলেন। স্বামী ফেরার পর তিনি বিষয়টি জানান। এরপর তাঁরা থানায় গিয়ে বিজেপি নেতার বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেন। পুলিস জানিয়েছে, অভিযোগ পাওয়ার পর মহিলার শারীরিক পরীক্ষা করানো হয়েছে। সোমবার তিনি আদালতের কাছে গোপন জবানবন্দি দিয়েছেন। এ বিষয়ে জেলার পুলিশ সুপার আমনদীপ জানিয়েছেন, ঘটনার তদন্ত চলছে। জবানবন্দির প্রতিলিপি পাওয়ার পরেই পরবর্তী পদক্ষেপ করা হবে।
এদিকে, অভিযুক্ত একজন বিজেপি নেতা হওয়ায় শোরগোল পড়ে গিয়েছে স্থানীয় রাজনীতিতে। জেলা বিজেপি নেতৃত্বের বক্তব্য, পুলিস তদন্ত করে অভিযুক্তকে শাস্তি দিক। একই সঙ্গে তাঁদের সাফাই, এর পিছনে কোনো রাজনৈতিক উদ্দেশ্য রয়েছে কিনা, সে বিষয়টিও পুলিশকে খতিয়ে দেখতে হবে। যদিও রাজনৈতিক অভিসন্ধির কথা মানতে চাননি জেলা তৃণমূল নেতৃত্ব। অভিযুক্তকে খুঁজছে পুলিস। স্থানীয় মানুষ এই ঘটনায় ক্ষুব্ধ।