টুডে নিউজ সার্ভিস, বর্ধমানঃ নির্ঘাত মৃত্যুর মুখ থেকে প্রাণ ফিরে পেলেন এক রেল যাত্রী। কর্তব্যরত এক মহিলা ও পুরুষ আরপিএফের তৎপরতা ও বিচক্ষণতায় মুহূর্তে মধ্যে চলন্ত ট্রেনের নিচে ঢুকে যাওয়ার আগেই ওই যাত্রীকে টেনে প্লাটফর্মে তুলে প্রাণ বাঁচান তারা। দুর্ঘটনায় ওই যাত্রীর পায়ে অল্প চোট লাগলেও নির্ঘাত মৃত্যুর মুখ থেকে কার্যতঃ বেঁচে ফিরলেন বিহারের মধুবনী জেলার রঘুপুর ইটাহার গ্রামের বাসিন্দা শৈলেন্দ্র চৌধুরী (৫৮)। স্বাভাবিকভাবেই ঘটনার আকস্মিকতা কাটিয়ে কর্তব্যরত আরপিএফ কর্মীদের ভগবানের সঙ্গে তুলনা করে কৃতজ্ঞতা জানিয়েছেন শৈলেন্দ্র বাবু।আরপিএফ বর্ধমান পোস্ট সূত্রে জানা গেছে, সোমবার ভোরে বর্ধমান রেল স্টেশনের ৫ নম্বর প্লাটফর্মে “মিশন জীবন রক্ষা” এর অধীনে নজরদারির কাজ করছিলেন এলসি নিভা কুমারী ও কনস্টেবল যোগেশ কুমার। সেইসময় ভোর ৩ টে ৫৪ মিনিটে ৫ নম্বর প্লাটফর্মে ডাউন গঙ্গা সাগর এক্সপ্রেস এসে দাঁড়ায়। ৪ টের সময় ট্রেনটি প্লাটফর্ম ছেড়ে বেরিয়ে যাবার সময় হঠাৎ এক যাত্রী ট্রেন থেকে নামতে যান। সেই সময় নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে পা পিছলে সরাসরি চলন্ত ট্রেনের নিচে ঢুকে যাচ্ছিলেন ওই যাত্রী। কিন্তু ওই প্লাটফর্মেই কর্তব্যরত আরপিএফ কর্মী নিভা কুমারী মুহূর্তের মধ্যে ছুটে এসে ওই ব্যক্তির হাত ধরেন, ছুটে আসেন আরেক কর্মী যোগেশ কুমার। তাদের দুজনের প্রচেষ্টায় ওই যাত্রীকে ট্রেনের নিচে ঢুকে যাওয়ার আগেই উদ্ধার করা যায়।
প্লাটফর্মে উপস্থিত অন্যান্য যাত্রীরা রেল পুলিশের এই কাজের ভুয়সী প্রশংসা করেছেন। আরপিএফের এক আধিকারিক জানিয়েছেন, যাত্রীদের সচেতন করার জন্য তারা সারাবছর বিভিন্নভাবে প্রচার করেন। চলন্ত ট্রেন থেকে ওঠা বা নামার বিষয়ে সর্বদাই সতর্ক থাকতে বলা হয়। তারপরেও অসচেতনতার কারণে কিছু দুর্ঘটনা ঘটে। আরপিএফ কর্মীরা সজাগ থাকে বলেই আজ একজন যাত্রীর প্রাণ বাঁচানো গেছে।