টুডে নিউজ সার্ভিসঃ রাজ্যে এবার রেকর্ড ৭ লক্ষ টন পেঁয়াজ উৎপাদন হয়েছে। এই পেঁয়াজ সংরক্ষণে এই প্রথম বিভিন্ন জেলায় সরকারি উদ্যোগে সংরক্ষণ কেন্দ্র গড়ে তোলা হচ্ছে। পূর্ব বর্ধমানের পূর্বস্থলী ও কালনা, হুগলির বলাগড় ও আদিসপ্তগ্রাম, মুর্শিদাবাদের নওয়াদা ও সাগরদিঘি, নদীয়ার হাঁসখালি এবং মালদহের গাজোলে ৪০ টন ধারণ ক্ষমতা সম্পন্ন ৮টি বড় সংরক্ষণ কেন্দ্র গড়ে তোলার কাজ শেষ পর্যায়ে রয়েছে বলে কৃষি বিপণন দফতর সূত্রে জানা গেছে। এছাড়া আরও ন’টি জেলায় ৯১৭টি ছোট পেঁয়াজ সংরক্ষণ কেন্দ্র তৈরির কাজ চলছে। সেগুলির প্রতিটিতে ৯ টন করে পণ্য রাখা যাবে। যার মধ্যে ৮৪৯টির নির্মাণ কাজ ইতিমধ্যেই সম্পন্ন হয়েছে বলে জানা গেছে। কৃষি বিপণন দপ্তর সূত্রে জানা গিয়েছে মোট ৯১৭টি পেঁয়াজ সংরক্ষণ কেন্দ্র গড়ে তোলার জন্য ৬ কোটি টাকা ভর্তুকি ধার্য করা হয়েছে। এতদিন বেসরকারি মালিকানায় পেঁয়াজ সংরক্ষণের জায়গা নির্মাণের জন্য রাজ্য সরকার ভর্তুকি দিত। এবার বিভিন্ন জেলায় বড় ও ছোট মাপের পেঁয়াজ সংরক্ষণ কেন্দ্র তৈরি করা হচ্ছে।
এই কেন্দ্রগুলিতে চাষিরা স্বল্প মূল্যে নিজেদের উৎপাদিত পেঁয়াজ সংরক্ষণ করার সুযোগ পাবেন। এর ফলে লক্ষাধিক মেট্রিক টন পেঁয়াজ সংরক্ষণ করা সম্ভব হবে বলে কৃষি বিপণন দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে। এদিকে রাজ্যে নতুন পেঁয়াজ উঠতে শুরু করায় বাজারেও দাম কমবে বলে আশা করা হচ্ছে। রাজ্য সরকারের টাস্ক ফোর্সের সদস্য কমল দে জানান, কয়েকদিনের মধ্যে রাজ্যের পেঁয়াজও কলকাতার খুচরো বাজারে বেশি পরিমাণে মিলবে। তখন সবধরনেরই পেঁয়াজের দাম কমবে। মজুত রাখার সুযোগ সম্প্রসারিত হওয়ায় এবার রাজ্যের পেঁয়াজ বাংলার মানুষের চাহিদা আরও বেশিদিন ধরে মেটাতে পারবে। এতে আর্থিক সুবিধা হবে ক্রেতাদের।