পূর্ব বর্ধমানঃ ওয়াটার অ্যাডভেঞ্চারে জাতীয় পুরস্কার জয় করে রাজ্যের মুখ উজ্জ্বল করলেন কালনার মেয়ে সায়নী দাস। রাজ্যের একমাত্র প্রতিনিধি হিসেবে এই সম্মান অর্জন করেছেন তিনি। জাতীয় স্তরে এমন সাফল্য এনে দেওয়ায় উচ্ছ্বাসে ফেটে পড়েছে কালনা মহিষমর্দিনী গার্লস ইনস্টিটিউশন। কারণ, এই বিদ্যালয়ের প্রাক্তনী সায়নী দাস। তাঁর এই অসামান্য কৃতিত্বে খুশি শুধু শিক্ষিকারা নন, আনন্দে ভাসছেন এলাকার বাসিন্দা এবং বর্তমান ছাত্রছাত্রীরাও।
শিক্ষা ও দক্ষতার যুগলবন্দি –
সায়নী দাসের এই সাফল্য প্রমাণ করল, পড়াশোনার পাশাপাশি অন্য যে কোনো ক্ষেত্রে দক্ষতা অর্জন করেও দেশের গৌরব বৃদ্ধি করা সম্ভব। সায়নী ছোটবেলা থেকেই পড়াশোনায় যতটা মনোযোগী ছিলেন, ততটাই আগ্রহ ছিল ওয়াটার অ্যাডভেঞ্চারের প্রতি। এই অনন্য দক্ষতাকে তিনি তাঁর অধ্যবসায়ের মাধ্যমে অন্য উচ্চতায় নিয়ে গেছেন।
পুরস্কার জয় এবং বিদ্যালয়ের উচ্ছ্বাস –
জাতীয় পুরস্কার প্রাপ্তির মুহূর্তটি বিদ্যালয়ে প্রজেক্টরের মাধ্যমে দেখানো হয়। সেই ছবি দেখে আবেগাপ্লুত হয়ে পড়েন শিক্ষিকারা। বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকা জানান, “সায়নী আমাদের গর্ব। তার এই সাফল্য বর্তমান ছাত্রছাত্রীদের কাছে এক বিশাল অনুপ্রেরণা। আমরা চাই আমাদের স্কুলের প্রতিটি মেয়ে পড়াশোনার পাশাপাশি নিজেদের পছন্দের ক্ষেত্রে দক্ষতা অর্জন করুক এবং সায়নীর মতো সাফল্য অর্জন করুক।”
সপ্তসিন্ধু পার করার স্বপ্ন –
সায়নী দাসের স্বপ্ন সপ্তসিন্ধু জয় করা। এই পুরস্কার জয় তাঁর সেই স্বপ্নপূরণের পথে আরও এক ধাপ এগিয়ে দিল। সায়নী জানান, “এই পুরস্কার পেয়ে আমি ভীষণ খুশি। তবে, এটি কেবল শুরু। সামনে আরও অনেক পথ পাড়ি দিতে হবে। আমার স্কুল এবং এলাকার মানুষদের ভালোবাসা আমাকে প্রতিনিয়ত অনুপ্রেরণা দেয়।”
এলাকার গর্ব –
সায়নীর এই সাফল্য শুধুমাত্র তাঁর পরিবারের নয়, বরং পুরো কালনা এলাকার গর্ব। এলাকার বাসিন্দারা জানান, সায়নী দাস তাঁদের মধ্যে থেকেই উঠে এসেছে এবং তাঁর অধ্যবসায় সকলের জন্য এক দৃষ্টান্ত।
সায়নী দাসের এই সাফল্য শুধু জাতীয় স্তরে নয়, আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রেও রাজ্যের মুখ উজ্জ্বল করবে বলে আশা করছেন তাঁর শিক্ষকরা। তাঁর এই অনন্য কৃতিত্বে গোটা এলাকাবাসী আনন্দে মেতে উঠেছে এবং তাঁকে শুভেচ্ছা জানাচ্ছে। সায়নী আজ প্রমাণ করেছেন, স্বপ্ন দেখলে এবং তাতে অদম্য ইচ্ছাশক্তি নিয়ে এগিয়ে চললে সাফল্য নিশ্চিত।
Social