ভাবতে অবাক লাগলেও এটাই সত্যি! নদীর ধারে গর্ত থেকে পানীয় জল সংগ্রহ জঙ্গলমহলে

Prabir Mondal
2 Min Read

দেবনাথ মোদক, বাঁকুড়াঃ ভাবতে অবাক লাগলেও এটাই সত্যি ২০২৫ সালে পৌঁছেও পানীয় জলের সমস্যায় ভুগছে দক্ষিণ বাঁকুড়ার জঙ্গলমহল। রানীবাঁধের আমডাঙ্গা গ্রামের অন্তত ২০টি পরিবার নদীর পাশে ‘চুয়া’ তৈরি করে পানীয় জল সংগ্রহ করে দিনযাপন করেন বহু বছর ধরে। এই চুয়া হল জলাশয়ের ঠিক পাশেই মাটি খুঁড়ে ছোট্ট গর্ত তৈরি করা হল। কিছুক্ষণ পরেই ওই গর্তে ফোঁটা ফোঁটা করে জল জমে। ওই জলই সংগ্রহ করে পান করেন গ্রামবাসীরা। ভোটের আগে রাজনৈতিক দলগুলির নেতাদের পক্ষ থেকে জল সমস্যার সমাধানের প্রতিশ্রুতি দেওয়া হলেও ভোট শেষে তা পূরণে তাগিদ থাকে না তাদের।

গ্রামবাসীদের তরফে জানানো হয়েছে, এখানে বসতি শুরুর পর থেকেই পর্যাপ্ত পানীয় জলের ব্যবস্থা নেই। গ্রামে টিউবওয়েল থাকলেও সেই জল ব্যবহার করা যায়না। অগত্যা ভরসা গ্রাম থেকে খানিক দূরের নদীর পাশের ‘চুয়া’র জল। পানীয় জলের সমস্যার সমাধানের বিষয়ে প্রশাসনে বারবার জানিয়েও কোনো কাজ হয়নি। জনস্বাস্থ্য কারিগরি দপ্তরের পক্ষ থেকে বাড়ি বাড়ি পানীয় জলের জন্য রাস্তায় পাইপ বসেছে। কিন্তু কবে জল পাওয়া যাবে তা নিয়ে প্রশাসন কোনো নিশ্চয়তা দেয়নি বলে দাবি গ্রামবাসীদের। সিপিএম নেতা তথা ডুবুখানা গ্রাম সংসদের সদস্য নকুল চন্দ্র সর্দার বলেন, “পানীয় জলের সমস্যা সমাধানে আমি উদ্যোগী হয়েছি। এবিষয়ে পঞ্চায়েত থেকে ব্লক প্রশাসন সর্বত্র জানানো হয়েছে।”

বাঁকুড়া জেলা বিজেপির সম্পাদক দেবাশীষ লায়েকের দাবি, এই ঘটনাই প্রমাণ করে জঙ্গল মহল হাসছেনা। এখানকার মানুষ তৃণমূল সরকারকে যোগ্য জবাব দেওয়ার জন্য তৈরি বলেও তিনি দাবি করেন।

রানীবাঁধ ব্লক তৃণমূল সভাপতি তথা বাঁকুড়া জেলা পরিষদের কর্মাধ্যক্ষ চিত্ত মাহাতোর দাবি, বিষয়টি সম্পূর্ণ মিথ্যা। সর্বত্র জল পৌঁছে গেছে। ওই চুয়ার জল শুধুমাত্র ডাল সেদ্ধ করার জন্য মানুষ সংগ্রহ করেন বলে তিনি দাবি করেন।

Share This Article
Leave a Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *