প্রবীর মণ্ডল, বর্ধমানঃ তরুণ কৃষি বিজ্ঞানী হিসেবে পুরস্কৃত হলেন পূর্ব বর্ধমানের মেমারির শ্রুতিলেখা দে। তার এই সাফল্যে খুশি পরিবার-পরিজন থেকে শুরু করে জেলাবাসী। বিজ্ঞানী ও কীটতত্ত্ববিদ ডঃ বি.বসন্তরাজ ডেভিড দ্বারা আয়োজিত ‘কৃষি বিজ্ঞানে অগ্রগতি’ বিষয়ক ষষ্ঠ জাতীয় সম্মেলনের সময় গত ১৩ নভেম্বর চেন্নাইয়ে কৃষি বিশেষজ্ঞ, বিজ্ঞানী এবং গবেষকদের নিয়ে এই সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। সেখানে শ্রুতিলেখা-কে পুরস্কৃত করা হয়। বর্তমানে তিনি জুলজিক্যাল সার্ভে অফ ইন্ডিয়া (জেডএসআই), কলকাতার একজন প্রতিশ্রুতিশীল তরুণ গবেষক।
সে জেডএসআই কলকাতার বিজ্ঞানী ইও যুগ্ম পরিচালক ডঃ শেলী আচার্যের নির্দেশনায় কাজ করছেন। তার গবেষণা ইয়ারউইগগুলির বিশদ শ্রেণীবিন্যাসের উপর দৃষ্টি নিবদ্ধ করে, এই আকর্ষণীয় পোকামাকড়গুলির বোঝার ক্ষেত্রে উল্লেখযোগ্যভাবে অবদান রেখেছে। ডঃ বি.বসন্তরাজ ডেভিড ফাউন্ডেশন কৃষি বিজ্ঞানে তরুণ গবেষক এবং উদ্ভাবকদের উৎসাহিত করার জন্য এই সম্মেলনের আয়োজন করে। ড. ভি ভি. রামমূর্তি (সভাপতি, এনটোমোলজিক্যাল সোসাইটি অফ ইন্ডিয়া, নয়া দিল্লি), সহ বিভিন্ন বিশিষ্ট বিজ্ঞানী ড. সুনীল যোশি (প্রধান আইসিএআর ন্যাশনাল ব্যুরো অফ এগ্রিকালচারাল ইনসেক্ট রিসোর্সেস, বেঙ্গালুরু), ডঃ সোমাসুন্দরাম জয়রামন (বিজ্ঞানী এবং প্রধান আইসিএআর ইন্ডিয়ান ইনস্টিটিউট অফ সয়েল অ্যান্ড ওয়াটার কনজারভেশন, রিসার্চ সেন্টার, তামিলনাডু) এই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।
শ্রুতিলেখা-র মা শুভ্রা দে জানান, “সন্তানরা যদি ভাল কাজ করে তাহলে সব বাবা মায়েরা গর্ব অনুভব করে। আমরা ভীষণ গর্বিত খুবই খুশি এবং আনন্দিত। তার এই চলার প্রসেসটা তো খুব লং ও যাতে আরও অনেক দূর এগোতে পারে। আমি নিজে সার্ভিস করেও ছোটবেলায় ওকে যথেষ্ট সময় দিয়েছি ও বায়োলজি খুব ভালবাসতো, তাই আমরা ওর ইচ্ছার প্রতি বাধা হয়ে দাঁড়াইনি কখনো।
শ্রুতিলেখার বাবা অলক কুমার দে জানান, “মেয়ে বাইরে থাকলে একটু চিন্তা তো হয়। তবে মেয়ের প্রতি এতটা ভরসা বিশ্বাস রয়েছে সে নিজে ঠিক গুটিগুটি পায় এগিয়ে যাবে। মেয়ের ইচ্ছা পূরণ করতে যা যা প্রয়োজন তাই আমি করব। তিনি আরও বলেন ছবি আঁকতে খুব ভালোবাসতো শ্রুতি, পাশাপাশি নাচতেও ভীষণ ভালোবাসতো, বিভিন্ন অনুষ্ঠানে নাচ করে অনেক পুরস্কার ও পেয়েছে শ্রুতি।”
Social