টুডে নিউজ সার্ভিস, বর্ধমানঃ সব হিসাব-নিকাশ উল্টে দিয়ে পশ্চিমবঙ্গে এগিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের তৃণমূল কংগ্রেস। ৪ জুন ভোট গণনার শুরুতেই এগিয়ে ছিল বিজেপি। কিন্তু বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গেই এগিয়ে যায় তৃণমূল কংগ্রেস। পশ্চিমবঙ্গের ৪২ টি আসনের মধ্যে ২৯ টি তৃণমূল জিতেছে। ফল বেরোতেই জেলায় শুরু হয় তৃণমূলের বিজয় মিছিল।
বর্ধমান-দুর্গাপুর লোকসভা কেন্দ্রের বিজেপির হেভিওয়েট প্রার্থী দিলীপ ঘোষকে ১.৩৮ লক্ষ ভোটের ব্যবধানে পরাজিত করেন তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থী কীর্তি আজাদ। এই জয় নিয়ে কীর্তি আজাদ বলেন, “দিদি যা প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন, তিনি তা পূরণ করেছেন। বাংলায় সরকার যেভাবে কাজ করেছে একজন শিশুর জন্ম থেকে একজন মানুষের মৃত্যু পর্যন্ত, সেখানে দরিদ্রদের জন্য কিছু আছে, যেখানে এটি ছিল বিজেপি এবং প্রধানমন্ত্রীর খালি বক্তব্য।”
বর্ধমান উত্তর বিধানসভা থেকেও বিজেপি প্রার্থী দিলীপ ঘোষ বহু ভোটে পিছিয়ে যায়। এই বিধানসভা থেকে তৃণমূল কংগ্রেস প্রায় ৪২ হাজার ভোটে লিড পায়। রবিবার বর্ধমান দু’নম্বর ব্লকের বাম এলাকায় বাম তৃণমূল কংগ্রেসের পক্ষ থেকে বাজনা সহকারে সবুজ আবির বিজয় মিছিল বের করা হয় এবং পথচলতি মানুষ থেকে শুরু করে সকল কর্মী সমর্থকদের মিষ্টি মুখ করানো হয়। এই বিজয় মিছিল প্রায় ৩০০-৪০০ কর্মী সমর্থকদের নিয়ে বাম তৃণমূল কংগ্রেস কার্যালয় থেকে শুরু হয়ে পুরো এলাকা ঘুরে আবার বাম তৃণমূল কংগ্রেস কার্যালয়ের সামনে শেষ হয়। উপস্থিত ছিলেন বর্ধমান-২ ব্লক তৃণমূল কংগ্রেসের সহ-সভাপতি জয়দেব ব্যানার্জী, বৈকুন্ঠপুর-১ অঞ্চল তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি শেখ আজাদ রহমান সহ আরও অনেকে।
পাশাপাশি এদিন পূর্ব বর্ধমান জেলার ভাতারের মুরাতিপুরে রবিবার তৃণমূল কংগ্রেসের কর্মীরা সবুজ আবির মেখে বিজয় মিছিলে মেতে উঠলেন। উপস্থিত ছিলেন নিত্যানন্দপুর অঞ্চলের তৃণমূলের অঞ্চল সভাপতি। এই বিজয় মিছিল সকালে শুরু হয় মুরাতিপুর গ্রামের তৃণমূলের দলীয় কার্যালয় থেকে। গোটা গ্রাম ঘুরে মুরাতিপুর বাজারে শেষ হয় এই বিজয় উৎসব।
Social