টুডে নিউজ সার্ভিসঃ কলকাতা মেডিক্যাল কলেজের চিকিৎসক ও পড়ুয়া, যাঁরা বর্ধমান পূর্ব লোকসভা কেন্দ্রের তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থী ডা. শর্মিলা সরকারকে চেনেন, শর্মিলার ভোটে দাঁড়ানোর খবরে তাঁরা খুব খুশি এবং তাঁদের স্পষ্ট কথা, আসন্ন নির্বাচনী লড়াইয়ে তাঁরা ডা. সরকারকেই সমর্থন করবেন। তাঁরা সকলে ডা. সরকারকে অভিনন্দন জানিয়েছেন এবং রাজনীতির আঙিনায় শিক্ষিত মানুষদের নিয়ে আসার জন্য তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন।
ডা. শর্মিলা সরকারের ছাত্র ডা. সায়ন রায় বলেন, বর্ধমান পূর্ব লোকসভা আসন থেকে তাঁদের শিক্ষাগুরু যে তৃণমূল কংগ্রেসের টিকিটে ভোটে লড়ছেন, তাতে তিনি খুব খুশি। তাঁর কথায়, ‘‘একজন চিকিৎসক হিসাবে এটা আমার কাছে অত্যন্ত গর্বের বিষয় যে ডা. সরকার ভোটে লড়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। আমাদের বিশ্বাস, তিনি অবশ্যই জিতবেন। তিনি শুধু একজন ভালো মানুষই নন। বরং একজন ভীষণ ভালো চিকিৎসক, যাঁর অনন্য কিছু চিন্তাভাবনা রয়েছে।’’
তিনি আরও বলেন, ‘‘তাঁকে স্বয়ং সেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নির্বাচন করেছেন, যাঁর নাম ভারতে যেকোনও অন্যায়ের প্রতিবাদে সর্বাগ্রে উচ্চারিত হয়। তিনি উচ্চশিক্ষিত এবং সমাজের প্রতিষ্ঠিত ব্যক্তিদের নির্বাচনে লড়ার সুযোগ করে দিয়ে রাজনীতিকে নবরূপে তুলে ধরেছেন। যা আমাদের দেশের ভবিষ্যতের জন্য খুবই ভালো।’’
ডা. রায় বলেন, আমাদের দেশে অনেকেই ভাবেন যে রাজনীতিতে শুধুমাত্র অশিক্ষিত ও সংস্কৃতির প্রতি অশ্রদ্ধাশীল মানুষরাই আসেন। তাঁর কথায়, ‘‘ডা. শর্মিলা সরকারের মতো একজন মানুষ সংসদীয় নির্বাচনে অংশ নিচ্ছেন, আমি এমন একটি বিষয়কে স্বাগত জানাচ্ছি। ক্য়ালকাটা ন্যাশনাল মেডিক্যাল কলেজের সমস্ত চিকিৎসক ও পড়ুয়ার পক্ষ থেকে আমি তাঁকে শুভ কামনা জানাচ্ছি।’’
বর্ধমান পূর্ব লোকসভা কেন্দ্রের বাসিন্দা, অন্তিম বর্ষের ডাক্তারি পড়ুয়া সুজয় মান্না, ছাত্রছাত্রীদের কল্যাণার্থে ডা. সরকারের ভূমিকার প্রশংসা করেছেন। মানসিক সুস্বাস্থ্য নিয়ে ডা. সরকারের অবদানেরও প্রশংসা করেছেন তিনি। সুজয় বলেন, ‘‘তিনি কেবলমাত্র আমাদের পড়ান না। সেইসঙ্গে, আমাদের মানসিক স্বাস্থ্যেরও খেয়াল রাখেন। আমরা দীর্ঘদিন ধরে তাঁকে চিনি। তাঁর কাউন্সেলিংয়ের জন্য আমরা তাঁকে ব্যক্তিগতভাবেও জানি। মনোরোগবিদ্যা নিয়ে তাঁর পড়াশোনা মানুষের প্রয়োজন বুঝতেও তাঁকে সাহায্য করবে। তিনি জিতলেই মানুষ এর সুফল পাবেন।’’