টুডে নিউজ সার্ভিস, দুর্গাপুরঃ নির্বাচনের দাবিতে আন্দোলন করলেই ছোড়া হচ্ছে বোম। মা বোনেরা মাথা তুলে দাঁড়াতে গেলেই দেখানো হচ্ছে ভয়। এভাবেই মেয়াদ উত্তীর্ণ নগর নিগমে ভোট না করে চলছে থ্রেট কালচার। দুর্গাপুরের সগড়ভাঙায় প্রকাশ্য সমাবেশে যোগ দিয়ে তৃণমূলকে আর দুর্গাপুর নগর নিগমকে আক্রমণে ডিওয়াইএফআইয়ের রাজ্য সম্পাদক মীনাক্ষী মুখার্জী। তিনি বলেন, নির্বাচন হলে যারা পোলিং অফিসার হয়ে নির্বাচন করাতে আসবেন তাদেরকেও ভয়ের মধ্যে থাকতে হবে। আর সকাল দশটার পর আঙ্গুলে দেওয়ার কালি গড়াগড়ি খাবে ফাঁকা মাঠে। সিপিএম করি বললে তাদের কান ধরে উঠবস করানো হয়। গণতান্ত্রিক দেশে পাঁচ বছর পর নির্বাচন করার প্রক্রিয়া থাকলেও সরকার নির্বাচন না করিয়ে ফেল হচ্ছে। তারা বুঝতে পারছে স্বচ্ছ ভাবে নির্বাচন হলে অপদার্থরা, লুটেরা থাকবে না। তৃণমূলের বিরুদ্ধে রাজ্যের প্রতিটি মানুষের ক্ষোভ বাড়ছে। বিনা লুটে বিনা থ্রেট কালচারে এরা সরকারে থাকতে পারবে না। দুর্গাপুরে যারা সিপিএম শ্রমিক সংগঠন করতো তাদের ঘাড় ধাক্কা দিয়ে কারখানা থেকে বের করে দেওয়া হতো। অন্য লোক ঢুকানো হয়েছিল তাদেরকেও সঠিক বোনাস সঠিক বেতন দিতে পারছে না। দোকানে, রাস্তায়, হাটে কেউ একটা লাল ঝান্ডা নিলেই তাকে হুমকি দেওয়া হয়। আর আরজি করের চিকিৎসক তরুণীকে ধর্ষণ করে খুন করে তার মা-বাবাকে দীর্ঘ সময় ধরে বসিয়ে রেখে তথ্য প্রমাণ লুট করা হলো। এভাবেই তো চলছে সর্বত্র থ্রেট কালচার।
তিনি আরও বলেন, দুর্গাপুরের কারখানা থেকে নদীর বালি, রাস্তাঘাট, পরিত্যক্ত জমি হরফ করে নেওয়া হচ্ছে। তার জন্য যে সরকারি দপ্তরগুলি রয়েছে সেগুলিতে অবাধে চলছে থ্রেড কালচার। অভয়ার বিচারের দাবিতে চিকিৎসকদের যে আন্দোলন চলছে, সেই আন্দোলনকে আমরা সমর্থন করছি। যতক্ষণ না পর্যন্ত বিচার হচ্ছে ততক্ষণ পর্যন্ত আমরাও রাস্তাতেই থাকছি।”জেলা তৃণমূলের সহ-সভাপতি উত্তম মুখোপাধ্যায় বলেন,”মিথ্যা অভিযোগ করছেন মার্কসবাদী কমিউনিস্ট পার্টির নেত্রী। কারণ এই সরকারের আমলে মানুষকে বা কোন দলের কর্মীদের থ্রেটের মুখে পড়তে হয় না। সবার সমান অধিকার আছে। উনি অভিযোগ করছেন অথচ ওই এলাকাতেই লাল ঝান্ডা উড়ছে আর কাস্তে হাতুড়ির চিহ্নও দেখা যাচ্ছে। ওরা বুঝতে পারছে বাংলার মানুষ ওদের সমর্থন করছে না। তাই এসব ভুলভাল বলছে।”
Social