টুডে নিউজ সার্ভিসঃ আরজি কর কাণ্ডের ঘটনার জের? হঠাৎ বন্ধ করে দেওয়া হল টক টু মেয়র কর্মসূচী। যদিও কেন এই সিদ্ধান্ত তা নিয়ে কিছুই খোলসা করেনি কলকাতা পুরসভা। তবে আর জি কর আবহে টক টু মেয়র বন্ধ রাখায় নতুন করে শুরু হয়েছে চর্চা। শহরবাসীর পরিষেবা সংক্রান্ত যাবতীয় সমস্যার কথা শুনতে শুরু হয়েছিল টক টু মেয়র। যার মাধ্যমে সরাসরি কথা বলা যায় মেয়রের সঙ্গে। সাধারণ মানুষের সমস্যা শুনে তা সমাধানের লক্ষ্যে পদক্ষেপ করা হয় প্রশাসন তরফে। খুব স্বল্প সময়ের মধ্যেই কলকাতাবাসীর মধ্যে সাড়া ফেলে নগরীর পুরপ্রশাসক ফিরহাদ হাকিমের এই কর্মসূচী।
কলকাতা পুরসভার মেয়র পদে দায়িত্ব নেওয়ার পরেই ‘টক টু মেয়র’ শুরু করেছিলেন ববি হাকিম। মূলত শনিবার দুপুর ১ টা থেকে দুপুর ২ টো পর্যন্ত চলে এই কর্মসূচী। পুজোর পর আগামীকাল অর্থাৎ ১৯ অক্টোবর টক টু মেয়র কর্মসূচী হওয়ার কথা থাকলেও তা হচ্ছে না। এদিন কলকাতা পুড়সভার তরফে সমাজমাধ্যমে এমনটাই জানানো হয়, আগামীকাল ‘টক টু মেয়র’ হচ্ছে না। কিন্তু হঠাৎ কেন এই কর্মসূচী বন্ধ করা হচ্ছে সেই বিষয়ে কিছুই জানানো হয়নি পুরসভার তরফে। আর এখানেই শুরু হয়েছে জল্পনা। তাহলে কি আর জি কাণ্ডে প্রতিবাদের আবহেই আগামীকালের কর্মসূচী বাতিল করা হল? উঠছে প্রশ্ন। প্রসঙ্গত, গত ৯ অগস্ট আর জি কর হাসপাতালে তরুণী চিকিৎসক ধর্ষণ-খুনের ঘটনায় তোলপাড় গোটা রাজ্য। ঘটনার পর দু’মাস অতিক্রান্ত হলেও এখনও দিকে দিকে চলছে প্রতিবাদ। টানা অনশন চালাচ্ছেন জুনিয়র ডাক্তাররা। পুজো মণ্ডপ থেকে কার্নিভাল সব জায়গাতেই উঠেছে বিচারের দাবী। বিরোধী শিবিরের পাশাপাশি নাগরিক সমাজের একাংশ মুখ্যমন্ত্রীর পদত্যাগের দাবিও তুলেছে। যার জেরে পদে পদে অস্বস্তি বাড়ছে রাজ্য সরকারের। বারবার প্রশ্নের মুখে প্রশাসন। এই আবহে চিন্তা-ভাবনা করেই কি তবে বন্ধ রাখা হল ‘টক টু মেয়র’? উঠছে প্রশ্ন। প্রসঙ্গত, গত অগস্ট মাসে ফিরহাদ হাকিমের টক টু মেয়র অনুষ্ঠানে উঠে এসেছিল আর জি কর ইস্যু। সেই সময় চিকিৎসক হত্যাকাণ্ডে মুখ্যমন্ত্রীর ভূমিকার প্রসঙ্গ তুলে ফিরহাদ বলেছিলেন, “মুখ্যমন্ত্রী নিজেই অভিযুক্তর ফাঁসির দাবি জানিয়েছেন। আমরা তো মোদীদের মত হাতে হ্যান্ডকাফ লাগিয়ে দিয়ে গুলি মেরে দিতে পারি না। ফাসট্রাক আদালতে বিচারের কথা বলা হয়েছে”। অন্যদিকে রেডরোডে কার্নিভালের দিন কলকাতা পুরসভা থেকে যে ডাক্তারদের পাঠানো হয়েছিল সেখানে একজন জুনিয়র ডাক্তার বুকে প্রতিবাদের ব্যাজ পড়ে রেডরোডে ডিউটি করছিলেন। হঠাৎই পুলিশ এসে তাঁকে তুলে নিয়ে যায় ময়দান থানায়। কিন্তু কেন এই আটক বা গ্রেফতার তার কোন উত্তর দিতে পারেনি পুলিশ। তার প্রতিবাদ জানিয়ে আন্দোলন জানিয়ে আরও তীব্র করে তোলে জুনিয়র ডাক্তাররা। তাঁরা পরিস্কার জানিয়ে দেন পুলিশ কে ক্ষমা চাইতে হবে। আর তার সঙ্গে তাঁরা কলকাতা পুরসভা এলাকায় যেসব স্বাস্থ্য কেন্দ্র গুলো আছে সেখানে প্রতীকী অনশন শুরু করে। এখন প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে তাহলে কি এই সব প্রশ্নের সম্মুখীন হতে হবে বলেই কি শনিবার ১৯ অক্টোবর কলকাতা পুরসভায় বন্ধ থাকছে টক-ট্যু-মেয়র কর্মসূচী? এটাই এখন সবথেকে বড় প্রশ্ন।
