স্থানীয়দের রসনা ত‍ৃপ্তিতে ব্যস্ত নদীয়ার খেজুর গুড় ব্যবসায়ী

Prabir Mondal
2 Min Read

জ্যোতি প্রকাশ মুখার্জ্জী, বর্ধমানঃ শীতকালে নলেন গুড়ের সন্দেশ, খেজুর গুড়ের রসগোল্লা, পাটালি বা নবাত, খেজুর গুড় দিয়ে তৈরি পায়েস অথবা খেজুর গুড়ে ডুবিয়ে পিঠে কোন বাঙালির না খেতে ভাল লাগে! সাধারণ ভাবে মিষ্টি অপচ্ছন্দের তালিকায় থাকলেও বর্তমান প্রজন্মের কিশোরীরাও খেজুর গুড় দিয়ে পিঠে বা পায়েস খেতে খুব ভালবাসে। বাঙালির কাছে শীতকাল ও খেজুর গুড় কার্যতঃ সমার্থক হলেও মঙ্গলকোটের চাণক অঞ্চলের বিভিন্ন গ্রাম সহ তার পাশ্ববর্তী গ্রামের বাসিন্দারা খাঁটি খেজুর গুড়ের স্বাদ থেকে কার্যত বঞ্চিত ছিলেন। এবার তাদের সেই আশা পূরণ করতে এগিয়ে এলেন নদীয়ার নজরুল সেখ।

এতদিন তিনি বীরভূমবাসীর রসনা তৃপ্তি করতেন। এবার তিনি মঙ্গলকোটের চাণক গ্রামে এসে উপস্থিত হন। এখানে তিনি শতাধিক খেজুর গাছ ‘লিজ’ নিয়ে সেগুলি থেকে খেজুর রস সংগ্রহ করে গুড় ও পাটালি তৈরি করতে শুরুও করেন। এখানে উৎপন্ন খেজুর গুড় ও পাটালির মধ্যে সেই চির পরিচিত স্বাদ পাওয়া যাচ্ছে। হাতের কাছে খাঁটি খেজুর গুড়ের সন্ধান পেয়ে ধীরে ধীরে খদ্দেরদের আগমন শুরু হয়।

এখানকার খেজুর গুড়ের স্বাদে মুগ্ধ গুসকরার অবসরপ্রাপ্ত রেল কর্মী উজ্জ্বল চৌধুরী বললেন, আমার এক আত্মীয় খেজুর গুড় ও পাটালি দিয়ে গিয়েছিল। স্বাদ যথেষ্ট ভাল।



মিষ্টি থেকে দূরে থাকা গণপুরের সঙ্গীত শিল্পী তৃণা মুখার্জ্জী বললেন- মিষ্টি খেতে ভাল না লাগলেও নূর চাচার কাছে কেনা খেজুর গুড় ও পাটালির স্বাদ সম্পূর্ণ আলাদা। তাইতো বাবার সঙ্গে এখানে এসেছি।


নদীয়া থেকে আগত অন্যতম খেজুর গুড় উৎপাদক নজরুল সেখ বললেন – দীর্ঘদিন ধরে খেজুর গুড় ও পাটালি তৈরি করলেও আমি এখানে প্রথম এসেছি। চেষ্টা করছি এলাকাবাসীদের খাঁটি খেজুর গুড় ও পাটালি উপহার দিতে।

Share This Article
Leave a Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *