কর্তব্যরত অবস্থায় মহিলা শিক্ষা কর্মীর অশ্লীল ছবি তোলার অভিযোগ শিক্ষকের বিরুদ্ধে

Prabir Mondal
3 Min Read

টুডে নিউজ সার্ভিসঃ অবর বিদ্যালয় পরিদর্শক কার্যালয়ে কর্তব্যরত শিক্ষা কর্মীর অশ্লীল ছবি তোলার অভিযোগ প্রাইমারি শিক্ষকের বিরুদ্ধে! ঘটনা পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার কেশপুর ব্লকের অন্তর্গত কেশপুর এক চক্র অর্থাৎ নেড়াদেউল অবর বিদ্যালয় পরিদর্শক কার্যালয়ের। গত ৫ ডিসেম্বর বৃহস্পতিবার দুপুরে বই বিতরণ হচ্ছিল অবর বিদ্যালয় পরিদর্শকের কার্যালয়ের সামনে কোয়াই বালিকা বিদ্যালয়ে। সেখানে উপস্থিত ছিলেন অবর বিদ্যালয় এর চুক্তিভিত্তিক এডুকেশনাল সুপারভাইজার। তার অভিযোগ, তার অজান্তেই কৌশিক মন্ডল তার বিভিন্ন অশ্লীল ছবি তুলে। বারবার বারণ করলেও শোনে না সে, তাকে ছবি তুলতে বাধা দিতে গেলে, অভিযুক্ত উক্ত মহিলা শিক্ষা কর্মীর গায়ে হাত দেন বলে অভিযোগ করেছেন তিনি। পরবর্তীতে সেখান থেকে ওই মহিলা শিক্ষা কর্মী দৌড়ে চলে যান এসআই অফিসে। এসআই অফিসে থাকা শিক্ষকদের এবং এসআই ম্যাডামকেও বিষয়টি জানান তিনি। পরবর্তীতে বাড়িতে জানান এবং আইনের দ্বারস্থ হন, কেশপুর থানায় একটি জেনারেল ডাইরি করেন। আইনের দ্বারস্থ হবার পর, বাড়ি ফেরার পথে ওই অভিযুক্ত শিক্ষক সহ বেশ কয়েকজন কেশপুর বাসস্ট্যান্ডে তাকে বিষয়টি মিটিয়ে নেওয়ার কথা বলে। তাদের কথায় রাজি না হাওয়ায় অভিযুক্ত শিক্ষকগণ দেখে নেওয়ার হুমকি দেয় বলে অভিযোগ করেছেন ওই মহিলা শিক্ষা কর্মী।
মহিলা শিক্ষা কর্মী আরও বলেন যে, তিনি ভয়-ভীতিতে রয়েছেন, তার প্রাণ সংশয়ের আশঙ্কা রয়েছে বলেও জানান তিনি। ওই মহিলা শিক্ষা কর্মী আরো বলেন, তার ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ অর্থাৎ এসআই ম্যাডামকে বিষয়টি জানালেও তিনি কোন পদক্ষেপ নেননি উদাসীন থাকেন। অবশেষে অভিযুক্তদের নামে কেশপুর থানায় এফআইআর দায়ের করেন। তবে যার বিরুদ্ধে অভিযোগ কৌশিক মন্ডল জানিয়েছেন, এইসব সাজানো নাটক! উনি নিজেই ঠিক মতো প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ইন্সপেক্সানের কাজ করেন না। ওনার বিরুদ্ধে অনৈতিক কাজের অভিযোগ রয়েছে। উনি শোকজ হয়েছেন প্রশাসনের পক্ষ থেকে। সেই সময় উনি আমাদের সাহায্য চেয়েছিলেন। আমি বা আমাদের ইউনিয়ন ওনার পাশে না থাকায় উনি আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ করছেন।
ঘটনায় মধ্যে থাকা আরও এক শিক্ষক চন্দন চক্রবর্তী বলেন, উনি আমার নামেও মিথ্যে ক্লেম করেছেন। যে আমি ওনাকে কেশপুর বাসস্ট্যান্ডে নাকি বিষয়টি মিটমাট করার জন্য বলেছি। এইসব কথা সম্পূর্ণ সাজানো এবং মিথ্যে। ওনার বিরুদ্ধে অনৈতিক কাজকর্মের অভিযোগ রয়েছে। উনি আমাদের ইউনিয়নের সাহায্য চেয়েছিলেন, আমাদের ইউনিয়ন জানিয়েছে কোনো ধরনের অনৈতিক কাজে জড়িত ব্যক্তির পাশে থাকবে না। তাই উনি মিথ্যে নাটক করছেন। তবে এইসব অনৈতিক কাজ কর্মের কথা একেবারেই মানতে রাজি নন ওই মহিলা শিক্ষা কর্মী। তিনি জানিয়েছেন যদি এই ধরনের কোন অনৈতিক কাজ থেকেই থাকতো, তাহলে এতদিন কেন কেউ বলেনি। যখনই আমি থানায় অভিযোগ করেছি তারপর কেন এসব কথা হচ্ছে। আসলে উনারা আইনের হাত থেকে বাঁচতে, এইসব বাহানার নিচ্ছেন। আমি পুলিশ প্রশাসনকে অনুরোধ করবো দ্রুত অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার। অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে ইতিমধ্যেই মামলা রুজু করেছে কেশপুর থানার পুলিশ।

Share This Article
Leave a Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *