বিশ্ববিদ্যালয়গুলিতে স্থায়ী উপাচার্য নিয়োগে রাজ্যপালের ভূমিকায় সরব শিক্ষামন্ত্রী

Prabir Mondal
2 Min Read

টুডে নিউজ সার্ভিসঃ বিশ্ববিদ্যালয়ে স্থায়ী উপাচার্য নিয়োগের ব্যাপারে রাজ্যপালের ভূমিকা নিয়ে সরব হলেন শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু। বুধবার বিধানসভায় ভবানীপুর গ্লোবাল ইউনিভার্সিটি বিলের ওপর আলোচনা শেষে জবাবি ভাষণে শিক্ষামন্ত্রী অভিযোগ করেন রাজ্যপালের অযাচিত হস্তক্ষেপে বিশ্ববিদ্যালয়গুলির পরিচালনা বিঘ্নিত হচ্ছে। তাদের শিক্ষার মানের অবনতি হচ্ছে। ৩৫ টি বিশ্ববিদ্যালয় স্থায়ী উপাচার্য নিয়োগের ব্যাপারে সুপ্রিম কোর্টের স্পষ্ট নির্দেশের পরেও রাজ্যপাল এই নিয়ে অযথা কাল বিলম্ব করছেন বলে শিক্ষামন্ত্রী অভিযোগ। উল্লেখ্য, বুধবার বিধানসভায় ভবানীপুর গ্লোবাল ইউনিভার্সিটি বিল ২০২৪ পেশ করেন শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু ৷ সেই সময় শঙ্কর ঘোষ-সহ বিরোধী বিধায়কদের একাংশ রাজ্যের বিশ্ববিদ্যালয়গুলির গুণমান কমে যাওয়ার অভিযোগ করেন ৷ যার জবাবে পাল্টা রাজ্যপাল তথা রাজ্যের বিশ্ববিদ্যালয়গুলির আচার্য হিসেবে রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোসের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন ব্রাত্য বসু ৷

শিক্ষামন্ত্রী অভিযোগ করেন, “রাজ্যপাল যেদিন থেকে বিশ্ববিদ্যালয়গুলিকে খেলনা বলে মনে করতে শুরু করেছেন, সেদিন থেকেই বিশ্ববিদ্যালয়গুলির এই অবস্থা হতে শুরু করেছে ৷ সুপ্রিম কোর্ট তার নির্দেশে স্পষ্ট ভাষায় বলেছে, উপাচার্য নিয়োগের ক্ষেত্রে অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি ইউ ইউ ললিতের নেতৃত্বে তৈরি এক্সপার্ট কমিটি নাম দেবে ৷”
বিধানসভায় ব্রাত্য আরও বলেন, “এক্সপার্ট কমিটির পাঠানো তালিকা থেকে মুখ্যমন্ত্রী উপাচার্যদের নাম গিয়েছে, তা রাজভবনে পাঠাবেন৷ এখানে উপাচার্য নিয়োগে রাজ্যপালের কোনও ভূমিকা নেই ৷ রাজ্যপাল শুধু ডাকবাক্স ৷ মুখ্যমন্ত্রীর পাঠানো নামে তিনি শুধু অনুমোদন দেবেন ৷”  তা সত্ত্বেও তিনি অযথা বিষয়টিকে ঝুলিয়ে রেখেছেন। একইসঙ্গে করা নামগুলি অনুমোদন না করে দফায় দফায় অনুমোদন দিচ্ছেন। এই অযথা বিলম্বের ফলে বিশ্ববিদ্যালয়গুলির পরিচালন ব্যাহত হচ্ছে।

শিক্ষামন্ত্রী আরও জানান, ভবানীপুরের গুজরাটি এডুকেশন সোসাইটি এই নতুন বিশ্ববিদ্যালয়টি তৈরি করবে। রাজ্যে ভাষাসংখ্যালঘু পড়ুয়াদের নিজস্ব বিশ্ববিদ্যালয় এই প্রথম। এর আগে বিলের উপর আলোচনায় অংশ নিয়ে বিরোধীরা শিক্ষাক্ষেত্রে বেসরকারি করনের অভিযোগ করেন। রাজ্যে সাম্প্রতিক একাধিক শিক্ষা দুর্নীতির সঙ্গে বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের বাড় বানাতে কোন সম্পর্ক আছে কিনা তা নিয়ে বিরোধী পক্ষের মুখ্য সচেতক শংকর ঘোষ প্রশ্ন তোলেন। যদিও শিক্ষা মন্ত্রী তাদের যাবতীয় অভিযোগ খারিজ করে দিয়েছেন। আলোচনা শেষে ধ্বনি ভোটে এই বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় বিলটি বিধানসভায় গৃহীত হয়।

Share This Article
Leave a Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *