টুডে নিউজ সার্ভিসঃ সন্দেশখালির ঘটনা নিয়ে যখন রাজ্য রাজনীতি উত্তাল ঠিক তখনই ১৯ তারিখ বিজেপির জেলা কমিটির নেত্রীকে বিয়ের প্রতিশ্রুতি ও বড় পদ পাইয়ে দেওয়ার প্রলোভন দিয়ে দিনের পর দিন সহবাস, মারধর ও ফোন কেড়ে নেওয়ার অভিযোগ সামনে আসে বিজেপি নেতারই বিরুদ্ধে। যা ঘিরে পূর্ব মেদিনীপুর জেলার বিজেপি মহলে প্রবল চাঞ্চল্য ছড়ায়।
জানা গেছে, তমলুক থানায় একজন বিজেপি নেত্রী যিনি তমলুক সাংগঠনিক জেলার মহিলা মোর্চার সদস্যা তাঁর অভিযোগ, তাঁকে বিয়ের প্রতিশ্রুতি ও জেলা বিজেপির বড় পদ পাইয়ে দেওয়ার প্রলোভন দেখিয়ে দিনের পর দিন তাঁর সঙ্গে শারীরিক সম্পর্ক করেছেন বিজেপির সাধারণ সম্পাদক দেবকমল দাস। শুধু তাই নয় তমলুকের একটি জায়গায় ডেকে তাঁকে মারধর করে। তাঁর কাছ থেকে ফোন কেড়ে নেওয়া হয়। পরবর্তীতে ফোন ফেরত চাইতে গেলে তাঁকে আবারও বেধড়ক মারধর করা হয়। তাঁর ফোনে থাকা সমস্ত ছবি ও তথ্য ডিলিট করে দেওয়া হয়। দেবকমল ছাড়াও তমলুক নগর মণ্ডল বিজেপির কোষাধ্যক্ষ আনন্দ নায়ক-সহ একাধিক বিজেপি নেতার অত্যাচার ও প্রাণে মেরে ফেলার হুমকি দেওয়ার কথা অভিযোগপত্রে উল্লেখ করেন ওই বিজেপি নেত্রী। বিজেপি নেত্রীর থানায় অভিযোগের পর থেকেই ফেরার অভিযুক্ত সকলে। অভিযুক্ত বিজেপি নেতাদের গ্রেপ্তার ও চরম শাস্তির দাবিতে তমলুক শহর মহিলা জাগরণ মঞ্চের পক্ষ থেকে বিক্ষোভ ও প্রতিবাদ কর্মসূচির আয়োজন করা হয়। তমলুকের মানিকতলা মোড় থেকে এই প্রতিবাদ মিছিল শুরু হয়। তমলুক থানার সামনে বিক্ষোভ কর্মসূচি চলে। উপস্থিত ছিলেন তমলুকের বিধায়ক সৌমেন মহাপাত্র, তমলুক শহর তৃণমূলের সভাপতি চঞ্চল খাড়া-সহ তমলুক পুরসভার সমস্ত ওয়ার্ডের মহিলা কর্মীরা।
Social