বিশ্বজিৎ বিশ্বাস, নদীয়াঃ মামির সাথে পরকীয়া সম্পর্ক জামাইয়ের, প্রতিবাদ করলে কপালের জুটতো মারধর। হঠাৎই গৃহবধূর রহস্য মৃত্যুর ঘটনায় তীব্র চাঞ্চল্য। গৃহবধূর পরিবারের অভিযোগ, তাদের মেয়েকে খুন করা হয়েছে। জানা যায়, মৃত গৃহবধুর নাম সোনালি মজুমদার, স্বামী তরুণ মজুমদার। গৃহবধুর শ্বশুর বাড়ি শান্তিপুর ফুলিয়ার চাপাতলা সরকারপাড়ায়। গৃহবধূর বাপের বাড়ি উত্তর ২৪ পরগনার বাগদা থানার পারমাদন গ্রামে। গৃহবধূর বাবা বিশ্বনাথ কর্মকারের অভিযোগ, গতকাল সকাল ১০ঃ৩০ নাগাদ তাদের মেয়ে ফোন করে বলে আমি হয়তো আর বেশি দিন বাঁচবো না, এই বলেই ফোন কেটে দেয় মেয়ে। পরবর্তীতে বেলা ১২টা নাগাদ মেয়ে অনিমার শ্বশুরবাড়ির প্রতিবেশীরা খবর দেয় তাদের মেয়ে নাকি গলায় দড়ি দিয়ে আত্মহত্যা করেছে। সাথে সাথেই শ্বশুর বাড়ির উদ্দেশ্যে বেরিয়ে পড়ে বাবা বিশ্বনাথ কর্মকার সহ গোটা পরিবার। অভিযোগ মেয়ের শ্বশুর বাড়িতে গিয়ে তারা দেখেন জামাই বাড়ি ছেড়ে পলাতক হয়ে যায়, মেয়ের মৃত্যুর ঘটনা এড়িয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে শাশুড়ি। এরপরেই তারা শান্তিপুর থানায় এসে মেয়েকে খুন করা হয়েছে বলে একটি অভিযোগ দায়ের করে। যদিও অভিযোগের ভিত্তিতে জামাই তরুণ মজুমদারের মাকে আটক করে শান্তিপুর থানার পুলিশ। গৃহবধূর পরিবারের সাপ অভিযোগ, তাদের মেয়ের মাত্র পাঁচ মাস আগে বিয়ে হয়, জামাই তরুণের এর আগে বিবাহ ছিল, মেয়ে অনিমারও এটি দ্বিতীয় বিবাহ। কিন্তু বিবাহের পর থেকেই জামাই তরুণের তার মামির সাথে দীর্ঘদিন ধরে পরকীয়া সম্পর্কে লিপ্ত হয়ে পড়ে। ফোনে প্রেমের আবেগ নিয়ে চলতো লেখালেখি। অনিমা মাঝেমধ্যেই তার বোনকে বিষয়টি জানালেও বোন কখনো পরিবারকে জানায়নি সংসার টিকিয়ে রাখার তাগিদে। অনিমা একটু চাপা স্বভাবের ছিল। অভিযোগ জামাইয়ের মামীর সাথে পরকীয়া সম্পর্কের জেরে তাদের মেয়েকে যে এভাবে বলিদান দিতে হবে তা কখনো স্বপ্নেও ভাবতে পারিনি তারা।
গৃহবধূর বাবার বাড়ির দাবি, তাদের মেয়ে নিজে থেকে আত্মঘাতী হয়নি জামাই চক্রান্ত করে খুন করেছে। এখন জামাইয়ের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে পুলিশের কাছে আর্জি জানান গৃহবধুর বাবা বিশ্বনাথ কর্মকার। যদিও এই ঘটনায় গভীরভাবে শোকাহত গৃহবধুর পরিবার। অন্যদিকে মৃতদেহটির ময়নাতন্ত্রের জন্য মর্গে পাঠায় শান্তিপুর থানার পুলিশ। পাশাপাশি গৃহবধূর শাশুড়িকে রানাঘাট বিচার বিভাগীয় আদালতে পাঠানো হয়।
Social