টুডে নিউজ সার্ভিসঃ শিলিগুড়ির ছাপোষা ভালো ছেলেটা ছিল সূর্য। চাকরি করছে, ভালো টাকা কামাচ্ছে, বাবা মা’কে সুখে রাখছে কিন্তু জীবনে একটাই চাপ- মেয়ে পাচ্ছে না বিয়ে করার মতন। পাচ্ছে না বলাটা হয়তো ভুল কারণ এর আগে ৬৭টা বিয়ে ক্যানসেল হয়েছে। আর এই বিয়ে ভেস্তে দেওয়ার পেছনে প্রধান কারিগর ওর বন্ধু শাওন। দুই বন্ধুর ব্যাচেলর লাইফ শেষ হয়ে যাওয়ার ভয়ে ও কিছুতেই বিয়ে করতে দিচ্ছে না সূর্যকে। নিজেও কোনোদিন প্রেম করেনি। ঠিক করে নিয়েছে সূর্যকেও করতে দেবে না।
ওদিকে কার্শিয়াং এ তখন জাঁদরেল পুলিশ অফিসার কর্নেল সেনগুপ্ত কলকাতা থেকে ফিরিয়ে নিয়ে এসেছে বড় মেয়ে হিয়াকে। পড়াশোনার নাম করে গেছে তো গেছে আর ফেরার নাম নেই। বিয়ের চিন্তা শুরু হয়েছে বাবার। একের পর এক ছেলে দেখছে আর একের পর এক ছেলে রিজেক্ট করেই চলেছে হিয়া। ফাইনালি পাকা দেখা ঠিক হলো সূর্য আর হিয়ার। হিয়ার বিন্দুমাত্র ইচ্ছে নেই বিয়েটা করার। ওদিকে শাওন চেষ্টায় আছে কিভাবে ভাঙা যায় বিয়েটা। মাঝে সূর্য প্রথম দেখায় ভালোবেসে ফেলেছিল হিয়ার ছোট বোন ঝিলিককে। কিন্তু পরে যখন জানতে পারে ঝিলিক মেয়ে নয়, মেয়ে আসলে হিয়া তখন ঝিলিক বাদে আবার হিয়ার প্রেমে পড়ে যায় তৎক্ষণাৎ। ৬৭ টা বিয়ে ক্যানসেল হওয়ার পর সূর্যর জীবনে এখন দুটো ক্রাইটেরিয়াই রয়ে গেছে। জীবিত আর মেয়ে হলেই চলবে।
বিয়ে ভাঙার তাল করে শাওন হিয়া কে নিয়ে আসে বাইরে একান্তে কথা বলতে। হিয়াকে শাসিয়ে দেয় বৌদি বলতে পারবে না। শাওন ওদের সাথেই থাকবে। সূর্যর সাথে মদ খেতে বসলে বাধা দেওয়া যাবে না। ঘুরতে যেতে হবে। সূর্যের তখন মাথায় হাত- এই বিয়েটাও গেল। আর ঠিক তখনই সবাইকে অবাক করে দিয়ে হিয়া চেয়ে বসে একটা সিগারেট। আর রাজি হয়ে যায় বিয়েতে। আর এমনি ইচ্ছে ছিল। বন্ধুদের সাথে থাকবে, ঘুরবে ফিরবে। এই বয়সে সংসার করার বিন্দুমাত্র ইচ্ছে নেই ওর। তারপর হিয়া একের পর এক বলতে থাকে ওর জীবনের ইচ্ছে আর তখনই ভাগ্যের নির্মম পরিহাসে শাওন প্রেমে পড়ে যায় হিয়ার। প্রথম প্রেম।
শাওন আপাতত ভয়ঙ্কর ঝামেলায়। বন্ধু না প্রেম! কোনটা বাঁচবে? প্রথম প্রেমটা কি হয়ে উঠবে?
কথায় কথায় বন্দুক চালানো কর্নেল সেনগুপ্ত সব জেনে ফেললে শাওন এর মাথায় ঠিক কটা গুলি করবে?
আর সবচেয়ে বড় কথা, মেয়ে দেখেই প্রেমে পরে কবিতা লিখে ফেলা সূর্যর কি আর বিয়ে হবে ফাইনালি! সব উত্তর নিয়ে আসছে আট থেকে আশি- সবার জন্য হাসি মজার এই সিরিজ.
Social