পাপু লোহার, দুর্গাপুরঃ দলের প্রধান ও উপপ্রধানের বিরুদ্ধে দুর্নীতি ও স্বজন পোষণের প্রতিবাদ, এবার প্রতিবাদী তৃণমূল অঞ্চল সহ সভাপতি তথা পঞ্চায়েত সদস্যার স্বামীকে বেধড়ক মারধর করলো দুষ্কৃতীরা। অভিযোগের আঙ্গুল পঞ্চায়েত প্রধানের স্বামী, পঞ্চায়েত উপপ্রধান ও তার দলবললের বিরুদ্ধে। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় এই ঘটনার জেরে উত্তপ্ত দুর্গাপুরের বুদবুদের মানকর অঞ্চল। গুরুতর জখম তৃণমূল পঞ্চায়েত সদস্যর স্বামী সরূপ মন্ডলের মাথা ফেটে গেছে, মাথার চোট গুরুতর থাকায় মানকর গ্রামীণ হাসপাতাল থেকে বর্ধমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় তাকে। জানা যায়, ঘটনার সূত্রপাত দিনকয়েক আগে তৃণমূল পরিচালিত পঞ্চায়েত প্রধান ডালিয়া লাহা ও উপ প্রধানের বিরুদ্ধে ত্রিপল বন্টন থেকে শুরু করে, পঞ্চায়েত এলাকায় উন্নয়নমূলক কাজের জন্য অনলাইন টেন্ডার নিয়ে দুর্নীতির অভিযোগ আনেন বেশ কয়েকজন তৃণমূল পঞ্চায়েত সদস্য। এনিয়ে গলসি-১ নম্বর বিডিওর কাছে লিখিত অভিযোগও করেন তারা।
এই প্রতিবাদী তৃণমূল পঞ্চায়েত সদস্যর তালিকায় ছিলেন তৃণমূল পরিচালিত মানকর পঞ্চায়েতের ৮ নম্বর সংসদের তৃণমূল পঞ্চায়েত সদস্য মিনু মালিক মন্ডল। এদিন সন্ধ্যায় যখন মিনু মালিক মন্ডলের স্বামী মানকর অঞ্চল তৃণমূল সহ সভাপতি সরূপ মন্ডল মানকর হাটতলা মোড়ে নিজের দোকান খুলে বসেছিলেন, তখনই মানকর গ্রাম পঞ্চায়েত উপপ্রধান ও প্রধানের স্বামী রাজু লাহা ও তার দলবল গিয়ে চড়াও হয় তার ওপর অভিযোগ। এরপর তাকে ঘিরে ধরে ব্যাপক মারধর করে তারা, মাথা ফেটে যায় সরূপ বাবুর। স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে মানকর গ্রামীণ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়, সেখান থেকে মাথার আঘাত গুরুতর থাকায় তাকে চিকিৎসকরা বর্ধমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়।
বুদবুদ থানায় অভিযুক্ত ব্যাক্তিদের নামে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন তৃণমূল পঞ্চায়েত সদস্য মিনু মালিক মন্ডল। যদিও ভিত্তিহীন অভিযোগ বলে বিষয়টি উড়িয়ে দিয়েছেন অভিযুক্তরা। গোটা ঘটনাকে ঘিরে দুর্গাপুরের বুদবুদ এলাকার মানকরে ব্যাপক উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে, পুলিশ পৌঁছে সামাল দেয় পরিস্তিতি। এইদিকে তৃণমূলের অন্দরের দ্বন্দ্ব সামনে চলে আসায় শাসক দলকে কটাক্ষ করেছে বিজেপি নেতৃত্ব।
Social