টাকির ইছামতিতে দুই বাংলার প্রতিমা নিরঞ্জন

Prabir Mondal
2 Min Read

টুডে নিউজ সার্ভিস, টাকিঃ অতিমারিই কাল হয়েছে এপার বাংলা ওপার বাংলা দুই বাংলার দুর্গা ঠাকুর নিরঞ্জনের। এতদিন পর্যন্ত বিজয়া দশমীর দিন দুই বাংলার দুর্গা প্রতিমা নিরঞ্জন হতো একসঙ্গে ইছামতি নদীর তীরে। সকাল থেকে রাত পর্যন্ত হতো বহু লোক সমাগম। দুই বাংলার মানুষ এই একটা দিন বাধাহীনভাবে নৌকায় চেপে ইছামতির ওপর ঘুরে বেড়াতেন স্বাধীনভাবে। কিন্তু ২০১৮ সালে নিরঞ্জনের সময় যে বিপত্তি দেখা দিয়েছিল আর তারপরে কোভিড সমস্ত কিছু নিয়মকানুন বদলে দিয়েছে এই প্রতিমা নিরঞ্জনের। স্থানীয় মানুষজন জানালেন ২০১৮ সালে ওপার বাংলার মানুষ অর্থাৎ বাংলাদেশের প্রচুর মানুষ নৌকায় চেপে এসে ঢুকে পড়েছিলেন এই দেশে। যা নিয়ে হয়েছিল অনেক বড় অশান্তি। রাত পর্যন্ত সেই অশান্তি চললেও আদপে অশান্তির যে কারণ তাকে সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করা যায়নি। আর এর পরই ২০১৯ সালে করোনার প্রকোপে বন্ধ হয়ে গিয়েছিল সবকিছুই। ২০২১ থেকে ফের নিরঞ্জনের পালা শুরু হলেও অতিমানের প্রকোপ গ্রাস করেছিল অনেকটাই। আর এবছর অতীতের সব নিয়মকেই ভেঙে দিয়ে দুই প্রশাসন এক জায়গায় বসে সিদ্ধান্ত নিল দুই বাংলার প্রতিমা নিরঞ্জন হবে দুই দিনে। খুব স্বাভাবিকভাবেই এপার বাংলা প্রতিমা নিরঞ্জন সেদিনের মতোই আজও দশমীতেই সম্পন্ন হল টাকিতে ইছামতি নদীর উপর। আর ওপার বাংলা অর্থাৎ বাংলাদেশের প্রতিমা নিরঞ্জন হবে একাদশীর দিন।

এত বছরের স্মৃতিকে আঁকড়ে ধরে সকলেই যেন উদ্বেগ প্রকাশ করছেন হাহাকার করছেন আজ নিজেদের সংস্কৃতির মেলবন্ধন থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে যাওয়ার এই ঘটনাটি। টাকিতে ইছামতি নদীতে যখন একের পর এক প্রতিমা রঞ্জন চলছে তখন ইছামতি নদীর ওপারে দূর থেকে দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়েই সেই নিরঞ্জনের দৃশ্যকে উপভোগ করছেন। আর মাঝখানে এই প্রথমবার রাজ্য পুলিশ এবং বিএসএফ দুইজন মিলে দাঁড়িয়ে আছে ইছামতি নদীর মধ্যভাগে নৌকায় চেপে। অতন্দ্র প্রহরীর মত একাগ্র চিত্রে পাহারায় মগ্ন বিএসএফ থেকে রাজ্য পুলিশ। খুব স্বাভাবিকভাবেই সকলেই এবছর হতাশ হয়েছেন ইছামতি নদীর উপর দুই বাংলার একসঙ্গে প্রতিমা নিরঞ্জন দেখতে না পেয়ে। তবুও যেন কোথাও এপারে থেকেই মানুষ হয়তো আবারো বলে উঠছেন আসছে বছর আবার হবে।

Share This Article
Leave a Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *