৪ প্রজন্মকে পাশে নিয়ে জন্মদিনের কেক কাটলেন শতায়ু বৃদ্ধা

Burdwan Today
2 Min Read

 

টুডে নিউজ সার্ভিস, পূর্ব মেদিনীপুরঃ বয়স ১০১ বছর। ১০১ বছর বয়সে কেক কেটে ঠাকুমার জন্মদিন পালন করলো নাতি নাতনীরা। সেঞ্চুরি ছাড়িয়ে মনের জোরকে সঙ্গে করে এখন তরতাজা ১০১ বছর বয়সী অন্নপূর্ণা মাইতি। চোখে মুখে বার্ধক্যর ছাপ স্পষ্ট। কিন্তু তাতে কি! ১০১ বছরেও তাকে কেউ বৃদ্ধা বললে তার শরীরের ভাষা বুঝিয়ে দেন তিনি ঠিক আছেন এবং সুস্থ আছেন। কাপড় কাচা বাসন মাজা রান্না করা কি পারেন না তিনি। তার মনের জোর , আর ইচ্ছা শক্তি যৌবনকেও যেন হার মানায়। 

এ কোনো রুপকথার গল্প নয়, এ গল্প জীবন যুদ্ধে হার না মানার গল্প। এ গল্প দীঘার অদূরে রামনগর থানার গোবরা গ্রামের। গোবরা গ্রামের বাসিন্দা অন্নপূর্ণা মাইতি এ বার ১০১ বছরে পা দিলেন। তাই বাড়িতে বেলুন সাজিয়ে কেক কেটে তাঁর জন্মদিন পালন করলেন নাতি নাতনীরা। বয়স হয়ে গেলেও তিনি পরিবারের একজন। সেই বার্তা দিতেই এই আয়োজন। তা ছাড়া ঠাকুমাকে আনন্দ দিতেও চেয়েছিলেন তারা। চারিদিক নানা রঙের বেলুনে ভরা। আত্মিয়ে স্বজনে ভরা বাড়ি। টেবিলের ওপর রাখা কেক। তাতে লেখা ১০১‌। কেক কাটলেন অন্নপূর্ণা দেবী।

অন্নপূর্ণা দেবীর ছেলে অরুন মাইতি বলেন, “এখন দেখছি অনেকে বৃদ্ধ মা বাবাকে বাড়ি থেকে বের করে দিচ্ছে।  যা একেবারেই উচিত নয়। সমাজে তাদের মূল্যই বেশি। সমাজ যাতে এই বার্তা বোঝে, তার জন্য এই আয়োজন করেছি।”

বৃদ্ধার পাঁচ মেয়ে তিন ছেলে। ভরা সংসারের এখনও মাথা অন্নপূর্ণা দেবী। লাঠি ছাড়াই হাঁটতে পারেন তিনি। চোখেও পরিষ্কার দেখতে পান। শুধু তাই নয়, বাড়িতে কাপড় কাচা বাসন মাজা রান্না করা জল তোলা সবই একা হাতে করতে পারেন তিনি।

তিনি কোনোদিনই মাংস মুখে তোলেননি। স্রেফ নিরামিষ খেয়েই কাটিয়ে দিয়েছেন এতগুলো বছর। তবে তার ১০১তম জন্মদিনে আয়োজনের কোনো ত্রুটি রাখেননি তাঁর ছেলেমেয়ে নাতি নাতনীরা।

জন্মদিনের কথা জিজ্ঞাসা করতেই বলে উঠলেন, “খুব ভালো লাগছে নাতি-নাতনিদের জন্য এত সুন্দর একটা দিন দেখলাম।’’

Share This Article
Leave a Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *