টুডে নিউজ সার্ভিসঃ দৃষ্টিহীনতার সুযোগ নিয়ে ‘নির্যাতন।’ বৃহস্পতিবার অধ্যক্ষ এবং সেক্রেটারিকে গ্রেফতার করে পুলিশ এবং শুক্রবার সকালে গ্রেফতার করা হয় রাঁধুনিকে। আবাসিকদের সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হল অন্যত্র। পুলিশ সূত্রে খবর, হরিদেবপুরের ওই হোমে টানা ১০ বছর ধরে দুই নাবালিকাকে ধর্ষণ করা হচ্ছিল। শ্লীলতাহানি করা হচ্ছিল আরও এক নাবালিলাকে।
স্থানীয় সূত্রে খবর, কলকাতার হরিদেবপুরের ওই হোমটি বেসরকারি। আবাসিকের সংখ্যা ৭৭। হোমে যারা থাকে, তারা সকলেই দৃষ্টিহীন। দীর্ঘদিন ধরেই ওই হোমের বিরুদ্ধে নানা বেআইনি কাজকর্ম চলার অভিযোগ ছিল।
কিন্তু, ওই আবাসিকের নাবালিকারা কেউ ভয়ে মুখ খুলত না। সম্প্রতি ওই হোমের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করা হয় শিশু সুরক্ষা কমিশনে। সেই অভিযোগের ভিত্তিতে বৃহস্পতিবার হোমে হানা দেয় হরিদেবপুর থানার পুলিশ। এরপর পুলিশ কাকুকে কাছে পেয়ে ধর্ষণের অভিযোগ করে দুই দৃষ্টিহীন নাবালিকা। ধৃতদের বিরুদ্ধে ধর্ষণ, শ্লীলতাহানি, পকসো আইন সহ একাধিক ধারায় মামলা রুজু করেছে পুলিশ। শুক্রবার তাদের পেশ করা হয় আদালতে ধৃতদের এবং ধৃতদের ১৬ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত পুলিশি হেফাজত। পাশাপাশি এই হোমের আড়ালে অন্য কোনো চক্র চলছিল কিনা খতিয়ে দেখছে পুলিশ।