বিশ্বজিৎ বিশ্বাস, নদীয়াঃ বিজেপির মন্ডল সভাপতি তথা পঞ্চায়েত সমিতির প্রার্থীর বাড়ির সামনে পড়ে রয়েছে সাদা থান কাপড় সঙ্গে রয়েছে গীতা মিষ্টি এবং ধূপকাঠি। প্রার্থীর অভিযোগ তার পরিবারকে আতঙ্কে রাখতে শাসকদল এই ঘটনা ঘটিয়েছে। নির্বাচনের আগের দিন এই ঘটনা ঘিরে রীতিমতো চাঞ্চল্য এলাকায়। ঘটনাটি নদীয়ার শান্তিপুর থানার ফুলিয়া এলাকায়। রাত পোহালেই পঞ্চায়েত নির্বাচন। এবারের নির্বাচনের দিন ঘোষণা হওয়ার পর থেকেই গোটা রাজ্যজুড়ে বিরোধীরা বিভিন্ন সন্ত্রাস চালানোর অভিযোগ তুলেছে রাজ্যের শাসক দলের বিরুদ্ধে। কোথাও বিরোধীদের প্রার্থীকে মারধর বাড়ি ভাঙচুর আবার কোথাও অপহরণের অভিযোগ উঠেছে। প্রতিটি ক্ষেত্রেই প্রশাসনের বিরুদ্ধে পক্ষপাতিত্ব করার অভিযোগ তুলেছে বিরোধী শিবির। ঠিক সেই রকমই শান্তিপুরের ২৮ নম্বর সমিতির প্রার্থী চঞ্চল চক্রবর্তীর বাড়ির সামনে সাদা কাপড়ের থান মিষ্টি গীতা এবং তুলসী পাতা ফেলে যাওয়াই নতুন করে চাঞ্চল্য ছড়ালো।
চঞ্চল চক্রবর্তীর অভিযোগ, শাসক দল বোঝাতে চাইছে আমি খুন হয়ে যেতে পারি। এর আগেও আমাকে একাধিকবার বিভিন্ন হুমকি দেখানো হয়েছে। কিন্তু আমি ছাত্র জীবন থেকে রাজনীতি করি। আমি এইসব হুমকিতে ভয় পাই না। তবে এই ঘটনায় স্বাভাবিকভাবে পরিবার কিছুটা হলেও আতঙ্কে রয়েছে। এই ঘটনার পেছনে পুরোপুরি শাসক দল জড়িত। পুলিশকে পুরো বিষয়টি জানিয়েছি বলেও জানান তিনি।
অন্যদিকে বিজেপি প্রার্থী চঞ্চল চক্রবর্তীর মা মিরা চক্রবর্তী জানান, সকালে কয়েকজন এলাকারই মহিলা চিৎকার চেঁচামেচি করে আমাকে ডাকতে থাকে। আমি গেটের বাইরে গিয়ে দেখি ওইসব জিনিসপত্র পড়ে রয়েছে। যেহেতু আমার ছেলে বিজেপি করে এবং ভোটে দাঁড়িয়েছে সেই কারণেই এই ঘটনা ঘটিয়েছে তৃণমূল। রাত পোহালেই নির্বাচন সেই কারণে আমরা চরম আতঙ্কে দিন কাটাচ্ছি।
অন্যদিকে, এই ঘটনা পুরোপুরি অস্বীকার করেছেন ২৮ নম্বর সমিতির তৃণমূল প্রার্থী উৎপল বসাক। তিনি বলেন, তৃণমূল কখনও এই শিক্ষা লাভ করেনি। আমরা মমতা ব্যানার্জী এবং অভিষেক ব্যানার্জী-র নেতৃত্বে রাজনীতি করি। তাঁরা কোনো গন্ডগোল কিংবা ঝামেলায় বিশ্বাসী নন। এই এলাকায় বিজেপি একটা ভোটও পাবে না সেই বুঝেই নিজেরাই এই ঘটনা ঘটিয়েছে।। এই ঘটনার সঙ্গে তৃণমূলের কোনো সম্পর্ক নেই।
তবে নির্বাচনের আগে এই ধরনের ঘটনা ঘটায় রীতিমত চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়েছে এলাকায়। এই ঘটনার সত্যতা নিয়ে তদন্ত শুরু করেছে শান্তিপুর থানার পুলিশ।
Social