Breaking News

বাংলা ভাগ মানুষ অন্তর থেকে মেনে নেয়নি কিন্তু, রাষ্ট্রশক্তির কাছে পরাজিত হয়ে বাস্তব মেনে নিতে হয়েছে

  

টুডে নিউজ সার্ভিস, বীরভূমঃ তবে দুই বাংলার মানুষ একই ভাষায় স্বপ্ন দেখেন আজও। এ সত্যতাকে গুরুত্ব দিয়ে ‘দুই বাংলার শিল্প সংস্কৃতি ও কাঁটাতারের প্রভাব‘ শীর্ষক আলোচনা সভার আয়োজন করেছিল “প্রাচী-প্রতীচী আর্ট গ্যালারি।” 

সমস্ত খবর পেতে আমাদের WhatsApp গ্রুপে জয়েন্ট করুন : https://chat.whatsapp.com/J2ZCZS26NOzBfHUobcE0YN

শান্তিনিকেতনের পঞ্চবন আর্ট রিসোর্টের খাপছাড়া মঞ্চে এই আলোচনা সভায় অংশ নিয়েছিলেন দুই বাংলার অধ্যাপক, সাংবাদিক, সমাজকর্মী, শিক্ষাবিদেরা৷ ইন্দো-বাংলা শিল্প সন্ধ্যার এই আলোচনায় বক্তব্য রাখেন, বাংলাদেশের ড: ফরিদা জামান, ড: দুলাল চন্দ্র গাইন, ড: সুশান্ত কুমার অধিকারী, এপার বাংলার থেকে অংশ নিয়েছিলেন, সাংবাদিক দেবদীপ পুরোহিত, নাট্যকর্মী জুলফিকার জিন্না, সমাজকর্মী আহসান কামাল প্রমুখ৷ অনুষ্ঠানের সঞ্চালনা করেন সাংবাদিক রজত রায়চৌধুরী। প্রত্যেই তাঁদের বক্তব্যে তুলে ধরেন, কোন কাঁটাতার কখনই শিল্প-সংস্কৃতির মেলবন্ধনের বাঁধা হতে পারেনা৷ তবে বাস্তবতা মেনে নিয়েই দুই বাংলার মানুষ তাদের শিল্প-কৃষ্টির আদান-প্রদান করে চলেছেন বছরের পর বছর ধরে৷ এই আলোচনা সভা ছাড়াও পরিবেশিত হয় বাংলার প্রাচীন লোকসংস্কৃতি ভাদু নাচ ও মুখোশ নৃত্য৷ স্থানীয় শিল্পীরাই অংশ নেন এই অনুষ্ঠানে।

অনুষ্ঠানের আয়োজক তথা শিল্পী তাপস মল্লিক বলেন, “দুই বাংলার মানুষের জনজীবন, লোকাচার, সংস্কৃতির উপর কাঁটাতারের প্রভাব কতটা পড়বে এই নিয়েই ছিল মূল আলোচনা। একটা দেশ তৈরি হতে লাগে জাতি, একটা জাতি তৈরি হয় ভাষা ভিত্তিক।

কিন্তু, দুই বাংলা, অর্থাৎ দেশ আলাদা হলেও জাতি কিন্তু একটাই৷ তাই সংস্কৃতির আদান-প্রদানের মধ্যদিয়ে যাতে বাঙালি জাতি আবার শ্রেষ্ঠত্বের শিখরে যায় তারজন্য লড়াইটা চালিয়ে যেতে হবে।”

About Burdwan Today

Check Also

চলতি গ্রীষ্মের মরশুমে বনপুকুরিয়া ডিয়ার পার্কে থাকা হরিণের জন্য বিশেষ উদ্যোগ নিচ্ছে বনদপ্তর

দেবনাথ মোদক, বাঁকুড়াঃ চলতি গ্রীষ্মের মরশুমে হরিণদের পুষ্টিকর খাবার সরবরাহে উদ্যোগী বনদপ্তর। প্রতিদিন নিয়ম করে …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *