দেবজিৎ দত্ত, বাঁকুড়াঃ দলীয় সভায় গিয়ে বজ্রপাতে মৃত তৃণমূল কর্মীর বাড়িতে গিয়ে সরকারী ক্ষতিপূরন ও দলের তরফ থেকে আর্থিক সহযোগিতার পাশাপাশি মৃতের স্ত্রীকে চাকরি দেওয়ার আশ্বাস দিলেন রাজ্যের মন্ত্রী শশী পাঁজা।
রবিবার বিকেলে বাঁকুড়ার ইন্দাস থানার আশিনপুর দীঘির মাঠে তৃণমূলের সভা শুরুর আগেই ঘটে যায় বিপত্তি। সভা শুরুর আগেই নামে বজ্র বিদ্যুৎ সহ বৃষ্টি। সেই সভার কাছেই একটি বটগাছের তলায় বৃষ্টির হাত থেকে বাঁচতে দাঁড়িয়ে ছিলেন তৃণমূলের বহু কর্মী সমর্থক। সেই সময় ওই বটগাছেই ঘটে বজ্রপাতের ঘটনা। ঘটনায় গাছের তলায় আশ্রয় নিয়ে থাকা তৃণমূল কর্মী সমর্থকরা মাটিতে লুটিয়ে পড়ে। এরপরেই অনান্য কর্মীরা বৃষ্টির মধ্যেই কর্মীদের উদ্ধার করে নিয়ে আসে স্থানীয় ইন্দাস ব্লক প্রাথমিক স্বাস্থ্য কেন্দ্রে। সেখানে শামেদ মল্লিক নামে এক তৃণমূল কর্মীর মৃত্যু হয়। প্রায় ৫০ জন আহত হয়৷ গুরতর আহত হয় ৯ জন তাদের স্থানান্তরিত করা হয় বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে। ঘটনার খবর শুনেই মৃত ও আহতদের পরিবারের পাশে থাকার বার্তা দেন দলের সাধারন সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশে সোমবার দুপুরে রাজ্যের মন্ত্রী শশী পাঁজা, প্রতিমন্ত্রী জ্যোস্না মান্ডি ও তৃণমূল নেতা দেবাংশু ভট্টাচার্য্য সহ তৃণমূল নেতৃত্ব ইন্দাস থানার বাথানিয়া গ্রামের মৃত শামেদ মল্লিকের বাড়িতে পৌঁছান। সেখানে গিয়ে মৃতের পরিবারের সাথে দেখা করেন এবং পাশে থাকার আশ্বাস দেওয়ার পাশাপাশি রাজ্য সরকারের তরফে তুলে দেওয়া আর্থিক সাহায্য।
এদিন শশী পাঁজা বলেন, “আজ আমরা দলের তরফে ৩ লক্ষ টাকা আর্থিক সহায়তা তুলে দিলাম। মৃতের পরিবারের পাশে থাকবে দল। সব ধরনের সহযোগিতা করা হবে এবং মৃতের স্ত্রী-কে আইসিডিএস-এর কাজেও নিয়োগ করা হবে।” পাশাপাশি এদিন ওই গ্রামে আহত আরও এক তৃণমূল কর্মীর বাড়িতে গিয়ে দেখা করে পরিবারের পাশে থাকার বার্তা দেন তিনি।
একই সঙ্গে তাঁরা আহতদের দেখতেও বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে যান।
Social