Breaking News

পুলিশের তাড়া খেয়ে নদীতে ঝাঁপ, মৃত্যু কলেজ ছাত্রের

 

টুডে নিউজ সার্ভিস, কলকাতাঃ নবগ্রামের পর ফের একবার মুর্শিদাবাদ জেলাতে পুলিশি হেফাজতে এক যুবকের মৃত্যুর অভিযোগ উঠল। ঘটনাটি ঘটেছে বহরমপুর থানার  মণীন্দ্রনগর বিদ্যাপীঠ এলাকাতে।  মৃত যুবকের নাম অতনু ঘোষ (২১)। তিনি বহরমপুর কলেজের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র ছিলেন। স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, একটি মামলার সূত্রে ওই যুবককে ধরতে শনিবার দুপুরে বহরমপুর থানার অন্তর্গত সৈদাবাদ ফাঁড়ির পুলিশ চেষ্টা করে। কিন্তু, সেই সময় ওই যুবক কোনোক্রমে পুলিশের হাত ছাড়িয়ে ভাগীরথী নদীতে ঝাঁপ দেয়। এরপর ওই যুবক আর জল থেকে উঠে আসেনি। রবিবার সন্ধে ওই যুবকের প্রাণহীন দেহ রাধারঘাটের কাছ থেকে উদ্ধার হয়। এই ঘটনার পরই ক্ষোভে পড়েন স্থানীয় জনগণ। 

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, মৃত অতনু ঘোষের বাড়ি নবগ্রাম থানার রানিশ্বর মসুরিডাঙ্গা এলাকাতে। প্রায় রোজই সে   ভাগীরথী নদী পার হয়ে বহরমপুরের বন্ধুদের সাথে আড্ডা মারতে আসতো। 

মৃত অতুনু-র বাবা নির্মল ঘোষ বলেন, ‘কয়েকদিন আগে একটি চায়ের দোকানে গন্ডগোলকে ঘিরে আমার ছেলেকে পুলিশ খুঁজছিল। কিন্তু পুলিশ ওয়ারেন্ট নিয়ে আমার বাড়িতে যাওয়ার পরিবর্তে শনিবার দুপুরে আমার ছেলে যখন মণীন্দ্রনগর বিদ্যাপীঠের কাছে একটি গাছের তলায় বসে মোবাইলে গেম খেলছিল তখনই হঠাৎই তার হাত ধরে চেপে ধরে থানায় নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে।’ 

তিনি আরও বলেন, ‘আমার ছেলে ভয় পেয়ে পুলিশের হাত ছাড়িয়ে নদীতে ঝাঁপ দেয়। কিন্তু, তারপর সে আর জল থেকে উঠে আসেনি।’

নির্মলবাবু অভিযোগ করেন, ‘গোটা ঘটনা পুলিশের সামনে ঘটলেও পুলিশ একবারও আমাদেরকে বিষয়টি জানানোর প্রয়োজন বোধ করেনি এবং পুলিশের তরফ থেকে আমার ছেলেকে জল থেকে উদ্ধারের কোনো চেষ্টাও করা হয়নি। আমার ছেলে ভালো সাঁতার জানলেও এই মুহূর্তে ভাগীরথী নদীতে জল খুব বেশি থাকায় সে তলিয়ে যায়।’ রবিবার সন্ধে নাগাদ অতনুর প্রাণহীন দেহ বহরমপুরের রাধারঘাটের কাছে ভেসে ওঠে। এর পরই পুলিশকে ঘিরে বিক্ষোভে ফেটে পড়েন সাধারণ জনগণ। মৃত অতনুর বাবা নির্মল ঘোষ অভিযোগ করেন, ‘বিনা দোষে আমার ছেলেকে পুলিশ খুন করেছে। আমি অভিযুক্ত অফিসারদের কঠোর শাস্তি চাই।’

About Burdwan Today

Check Also

কোজাগরীতে মধ্যবিত্তের পকেটের লক্ষ্মীতে টান!

জ্যোতির্ময় মণ্ডল, মন্তেশ্বরঃ শারদীয়া দুর্গা উৎসবের পর আশ্বিন মাসের শেষে পূর্ণিমার তিথিতে কোজাগরী লক্ষ্মী পূজার …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *