বিশ্বজিৎ বিশ্বাস, নদীয়াঃ আসন্ন পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে গোষ্ঠী কোন্দলের জেরে ঘাসফুল শিবিরে বড়সড় ভাঙন। তৃণমূলের প্রাক্তন প্রধান সহ ২০০ জন তৃণমূল কর্মী বিজেপি সাংসদের হাত ধরে যোগদান করল বিজেপিতে। এদিন নদীয়া রানাঘাট এক নম্বর ব্লকের তারাপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের তারাপুর বাজারে এক কর্মী সভার আয়োজন করে বিজেপি। এই কর্মী সভায় উপস্থিত ছিলেন রানাঘাট লোকসভা কেন্দ্রের বিজেপি সাংসদ জগন্নাথ সরকার। এই কর্মী সভার মধ্যে দিয়ে ওই গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রাক্তন প্রধান বিপুল মন্ডল প্রায় ২০০ জন তৃণমূল কর্মীকে সাথে নিয়ে যোগদান করেন বিজেপিতে।
যোগদান পর্বের শেষে প্রাক্তন প্রধান বিপুল মন্ডলের দাবি ২০১৮ সালে তৃণমূলের পঞ্চায়েত প্রধান থাকাকালীন তাকে কাজ করতে দেয়নি তৃণমূলের উঁচু স্তরের নেতারা। এরপর ২০২২ সালের জানুয়ারি মাসে ছলপূর্বক তাকে পদত্যাগ করানো হয়। যদিও ২০২২ সাল থেকে এখনো পর্যন্ত তিনি তারাপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের মেম্বার রয়েছেন। তাকে বিজেপিতে যোগদান নিয়ে প্রশ্ন করা হলে জানান, সারা রাজ্যজুড়ে যেভাবে তৃণমূলের একের পর এক দুর্নীতি উঠে আসছে এছাড়াও এতদিন যে দলটি করেছি সেই দলটি করে মানুষের চোখের জল মোছানো যাবে না। স্বজনপোষণ নীতি থেকে আমরা বের হতে পারব না, এই দলটাতে শুধুই গোষ্ঠীদ্বন্দ্বে ভরা। স্বচ্ছ নিরপেক্ষ এবং মানুষের স্বার্থে কাজ করতে হলে তৃণমূল দলটা ত্যাগ করা দরকার, তাই আমরা দলত্যাগ করে বিশ্বাসে বিশ্বাসী হয়ে ভারতীয় জনতা পার্টিতে যোগদান করলাম।
বিজেপি সাংসদ জগন্নাথ সরকার কটাক্ষের সুরে বলেন, আগামী পঞ্চায়েত নির্বাচনে তৃণমূল যদি পুলিশ প্রশাসন এবং ক্রিমিনাল কে কাজে না লাগায় যদি স্বাভাবিক ভোট হয়, তৃণমূলের চিহ্ন থাকবে না। শুধু নদীয়া নয় সারা বাংলা থেকে তৃণমূল নিশ্চিহ্ন হয়ে যাবে, এমনিতেই নদীয়া দক্ষিনে তৃণমূল শূন্য। আগামী পঞ্চায়েত নির্বাচনে আমরা প্রত্যেকটি পঞ্চায়েত দখল করব।
Social