অভিজিৎ হাজরা, বাগনান, হাওড়াঃ নির্বাচন যত এগিয়ে আসছে ততই স্নায়ুর চাপ বাড়ছে শাসকদল তৃণমূল কংগ্রেসের। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উন্নয়নকে সামনে রেখে পঞ্চায়েত স্তরের নেতৃত্ব যেমন মানুষের কাছে পৌঁছে যাচ্ছেন তেমনি স্থানীয় ইস্যুগুলি নিয়ে সরব হচ্ছে বিরোধী সি পি এম, কংগ্রেস,বি জে পি সহ অন্যান্য রাজনৈতিক দল গুলি ও।হাওড়া ও তার ব্যতিক্রম নয়। জানা গিয়েছে হাওড়ার বাঙালপুর গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকা এই মুহূর্তে সরগরম, তৃণমূল কংগ্রেসের এক জেলা নেতৃত্বের ভেড়ি ঘিরে। জানা গিয়েছে বাঙালপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের বাড় কালিকাপুরে একশো বিঘার কাছাকাছি জমিতে কয়েক বছর আগে ভেরি তৈরী করেন হাওড়া জেলা পরিষদের বর্তমান সদস্য রেজ্জাক হাজারি ও তাঁর দুই ভাই। অভিযোগ আইন মেনে এই ভেড়ি তৈরী হয় নি। পাশাপাশি ভেড়িটি তৈরী করতে গিয়ে নষ্ট হয়ে গিয়েছে দামোদর নদ থেকে জল তুলে বোরো চাষের জল তোলার জন্য আর এল আই পাম্পটি।কয়েক লক্ষ টাকা ব্যয়ে তৈরী করা হয়েছিল আর এল আই পাম্পটি।
উল্লেখ্য, বেশ কিছুদিন আগে বেআইনিভাবে ভেড়ি তৈরীর সময় আর এল আই পাম্পটির যন্ত্রাংশ উধাও হয়ে যায়।এই ইস্যুতে বাঙালপুর গ্রাম পঞ্চায়েতে ডেপুটেশন ও দেয় কৃষক সভা। কিন্তু বেআইনী ভাবে ভেড়ি তৈরী ও আর এল আই পাম্প উধাও নিয়ে কোনো পদক্ষেপ নেয়নি প্রশাসন। আর এই ইস্যুকেই এবার ভোটের আগে সামনে আনছে সি পি এম , কংগ্রেস,বি জে পি সহ বিরোধী দলগুলি। বাঙালপুর সহ আশপাশের বিভিন্ন এলাকায় জোর চর্চা চলছে তৃণমূল কংগ্রেসের জেলা পরিষদ নেতার ভেড়ি নির্মাণ কে কেন্দ্র করে। পাশাপাশি বোরো জল না পেয়ে ক্ষোভে ফুঁসছে চাষীরা।যদিও বিষয়টি নিয়ে হাওড়া জেলা পরিষদের সদস্য রেজ্জাক হাজারি বলেন, “কোনো রকম বেআইনীভাবে ভেড়ি তৈরী করা হয়নি। সবটাই বিরোধীরা অপপ্রচার করছে।”
অন্যদিকে বাঙালপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের উপপ্রধান আশিক রহমান জানান,”বিষয়টি এই জানলাম।তবে যদি কেউ কোনো বেআইনী কাজ করে তার বিরুদ্ধে আইনী ব্যবস্থা নেওয়া উচিত।”এই প্রসঙ্গে বাগনান কেন্দ্রের বিধায়ক অরুনাভ সেন জানান,” ব্যক্তিগত স্বার্থে দলকে ব্যবহার করা যাবে না।আইন আইনের পথেই চলবে।”
Social