বিশ্বজিৎ বিশ্বাস, নদীয়াঃ গর্ভবতী গৃহবধূকে পেটে লাথি মারার অভিযোগ উঠল তার স্বামীর বিরুদ্ধে। শাস্তির দাবি চেয়ে থানার দারস্থ গর্ভবতী গৃহবধূ। ঘটনাটি ঘটেছে শান্তিপুর ব্লকের বাবলা গোবিন্দপুর দক্ষিণ কায়স্থ পাড়ায়। আক্রান্ত গৃহবধূর অভিযোগ, এক বছর আগে বর্ধমান জেলার বুলবুলি তলার হাজরা পাড়া বড়ার বাগান এলাকার বাপ্পা বৈরাগ্য-এর সাথে তার বিবাহ হয়। বিবাহের পর থেকেই প্রতিনিয়ত স্বামী অত্যাচার করে, এমনকি অত্যাচার সহ্য করতে না পেরে শান্তিপুরে দিদার বাড়িতে এসে আশ্রয় নেয় গৃহবধূ দশমী দুর্লভ। অভিযোগ অশান্তির মাত্রা প্রতিদিন বেড়ে যাওয়াতে গত কয়েকদিন ধরে দিদার বাড়িতেই আশ্রিত ছিল ঐ গৃহবধূ। কিন্তু গতকাল রাতে তার স্বামী হঠাৎ মদ্যপান করে বাড়িতে ঢোকে, এরপর বেধড়ক মারধর করে। গৃহবধূ ছয় মাসের অন্তঃসত্ত্বা, সেই অবস্থাতেই পেটে লাথি মারে স্বামী। গৃহবধূর দিদা ঠেকাতে গেলে তাকেও মারধর করে স্বামী বাপ্পা বৈরাগ্য। এই ঘটনার পর থেকেই শারীরিকভাবে খুবই অসুস্থতা বোধ করে গৃহবধূ দশমি দুর্লভ।
যদিও ঐ রাতেই ঘটনার পরে ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যায় অভিযুক্ত। মঙ্গলবার স্বামীর শাস্তির দাবিতে শান্তিপুর থানার দারস্ত হয় আক্রান্ত গৃহবধূ ও তার দিদা, এছাড়াও অভিযুক্ত স্বামীর বিরুদ্ধে একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করে শান্তিপুর থানায়। যদিও অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্তে শান্তিপুর থানার পুলিশ। আক্রান্ত গৃহবধূর দাবি, তার স্বামী যেভাবে অত্যাচার করে তাতে করে তার সাথে আর সংসার করা সম্ভব নয়, কিন্তু সে অন্তঃসত্ত্বা হওয়ার কারণে এখন খরপোশের দাবি জানাবে।
গৃহবধূর দিদার দাবি, বেশ কয়েক বছর আগে গৃহবধূ দশমী দুর্লভের মা মারা যান, বাবা নিরুদ্দেশ, তারপর থেকেই দশমী দুর্লভ তাদের কাছে মানুষ। জামাই যেভাবে নাতনির উপরে শারীরিক এবং মানসিক অত্যাচার করছে তা দিদা হিসাবে মেনে নিতে পারছেন না, এছাড়াও গর্ভবতী অবস্থায় লাথি মারার পর থেকে খুবই আতঙ্কের মধ্যে রয়েছেন তারা।
Social